সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে তৃতীয় পক্ষের লিঙ্ক-এর মাধ্যমে কাজ করে এমন ধরনের অ্যাপ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- আপনার আইফোন কি অন হচ্ছে না? এই সহজ উপায়ের মাধ্যমেই রিস্টার্ট করা যাবে ডিভাইস
সূত্রের খবর, এই সমস্ত অ্যাপ তথ্য ও প্রযুক্ত আইনের ৬৯ ধারা লঙ্ঘন করছে। তার ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার দিকে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিতে পারে বলে মনে করছে সরকার।
advertisement
জানা গিয়েছে, এই অ্যাপগুলি আর্থিক ভাবে সমস্যায় রয়েছেন এমন ভারতীয় নাগরিকদের ঋণের জালে ফাঁসানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযোগ, এরা প্রদেয় ঋণের উপর ৩,০০০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ বাড়িয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
এমনকী এই সব অ্যাপের প্রতারণায় পা দিয়ে ঋণ নিয়ে প্রচুর মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন, বহু মানুষ আত্মহত্যার মতো চরম পথও বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় এই অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নিয়েছিলেন এমন বহু মানুষের আত্মহত্যার ঘটনা জানা গিয়েছে। তারপরই প্রশাসনের তরফে কড়া পদক্ষেপ করার কথা প্রকাশ্যে আসে।
এর বাইরেও রয়েছে বিপদের ফাঁদ। চিনা এই অ্যাপগুলি গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে। তাদের কাছে অনেক ভারতীয় নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার অনুমতি দেওয়া রয়েছে। ফলে তারা খুব সহজেই সার্ভার-সাইড নিরাপত্তার অপব্যবহার করতে পারে।
এই ধরনের তথ্যের অ্যাক্সেস বৃহৎ পরিসরে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে এধরনের অ্যার দেশের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রত প্রায় ছয় মাস আগে কিছু চিনা ঋণ প্রদানকারী অ্যাপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল। তখনই জানা যায় ৯৪টি অ্যাপ ই-স্টোরে পাওয়া যায় এবং এরা তৃতীয় পক্ষের লিঙ্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন- পুরুষের পর্দাফাঁস! Facebook-এর এই গ্রুপে ‘ডার্টি সিক্রেট চালাচালি’ করেন মেয়েরা
সেই সময়েই, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি মন্ত্রককে এই ধরনের বেটিং এবং ঋণ প্রদায়ী অ্যাপগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বলেছিল। তবে এই প্রথম নয়। ২০২২ সালেও কেন্দ্র ৫৪টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল।