সরকারও চাইছে, ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের ব্যবহার বাড়ুক। তবে সাধারণ গ্রাহক এখনও সন্দিহান। এর প্রধান কারণ হল ইভি-র রেঞ্জ, যা খুবই বাস্তব এবং ন্যায়সঙ্গত।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে পেট্রোল পাম্প রয়েছে। গ্যাঁটের কড়ি খরচ করলেই পেট্রোল বা ডিজেল ভরা যায়। কিন্তু ইভি চার্জিং স্টেশন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গাতেই যেতে হবে। তাছাড়া রিচার্জ করাটাও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
advertisement
আরও পড়ুন- সৌরভকে প্রকাশ্যে প্রোপোজ অভিনেত্রীর! দাদাগিরির মঞ্চে এবার বিরাট কাণ্ড
তার ওপর ইভি একবার ফুল চার্জ দিলে কত কিমি পাড়ি দেবে, বিশেষ করে শীতকালে, সেই নিয়েও সাধারণ গ্রাহক ধন্দে ভোগেন। শীতের মরশুমে ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের রেঞ্জ হ্রাস পায়। কারণ ঠান্ডায় ব্যাটারি ভাল কাজ করে না। তবে এর থেকে বাঁচার কয়েকটা উপায় রয়েছে।
প্লাগ ইন এবং প্রি-হিট: প্লাগ ইন থাকা অবস্থায় প্রি-হিট করলে বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বৃদ্ধি পায়। গাড়ি গরম করতে প্রচুর পাওয়ার খরচ হয়। আনপ্লাগ অবস্থায় প্রি-হিট করলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। গ্রিড থেকে পাওয়ার ব্যবহার করে গাড়ি গরম করলে ব্যাটারিতে চাপ পড়ে না। রেঞ্জ একই থাকে।
ইকো মোডে ধীরে গাড়ি চালাতে হবে: ইভি-র রেঞ্জ ঠিক রাখার জন্য এটা করতেই হবে। কারণ গাড়ি দ্রুত চালালে ব্যাটারি খরচ বেশি হয়। আইসিই গাড়ির ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে।
গতি সামান্য কমালেই ব্যাটারির কার্যকারিতা বজায় থাকবে, এমনকী শীতকালেও। ইভি-তে একাধিক ড্রাইভিং মোড থাকে। ইকো মোডে ড্রাইভ করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা পাওয়ার খরচ কমিয়ে রেঞ্জ বাড়িয়ে দেবে।
আরও পড়ুন- ক্রিকেটারদের ব্যাগ থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণে মদের বোতল, শুরু হয়েছে তদন্ত
ব্যাটারি চার্জ টপ আপে রাখতে হবে: বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি সর্বদা টপ আপ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। বেশিরভাগ বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতারা ইভি ব্যাটারির চার্জ ২০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে রাখার পরামর্শ দেন। চালক গাড়ি নিয়ে যখনই বের হন না কেন ব্যাটারি যেন এই রেঞ্জের মধ্যে থাকে।
টায়ারে বায়ুর চাপ: টায়ারের বায়ুর চাপ সর্বদা মাইলেজের উপর প্রভাব ফেলে। শীতে এ কথা আরও বেশি করে প্রযোজ্য। তাই নিয়মিত টায়ার পরীক্ষা করা উচিত।