তবে বাইক কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা আবশ্যক। কারণ বাইক কেনার পর যদি সঠিক ভাবে যত্ন না করা হয়, তাহলে কিন্তু খরচের উপর খরচ হতে বাধ্য! তাই বাইক কেনার সময় এর যত্নের প্রক্রিয়াগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। যেমন – বাইকের সার্ভিসিংয়ের বিষয়টি সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। আসলে বাইকের পারফরম্যান্স এবং মাইলেজের জন্য সার্ভিসিং করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ব্যবহারকারী একবারের জন্য সার্ভিসিং মিসও হয়ে যায়, তাহলে আপনার বাইকের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বছরে কত বার বাইকটি সার্ভিসিং করা উচিত, সেটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকের প্রতিবেদনে আমরা সেই প্রসঙ্গেই আলোচনা করে নেব।
advertisement
কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে সার্ভিসিং
বাইক রানিং বা বাইক চালানো:
ব্যবহারকারী যদি প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বাইক চালান, তাহলে যে কোনও অবস্থাতেই দুই থেকে তিন মাস অন্তর তাঁর বাইক সার্ভিসিং করা উচিত।
আরও পড়ুন- এসি চালালেই কলের মতো হরহর করে জল পড়ছে! গরমে বাঁচতে AC কীভাবে ঠিক করবেন জানুন…
বাইকের ক্যাটাগরি বা বাইকের ধরন:
ধরা যাক, ব্যবহারকারী একটি স্পোর্টস বাইক বা ক্রুজার বাইক চালাচ্ছেন। যার দৈনিক দৌড় বা ডেলি রানিং ২০০ কিলোমিটারের বেশি এবং বাইকটির ইঞ্জিন ৩০০ সিসি-র উপরে থাকে। তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর এক থেকে দুই মাসের মধ্যে একবার করে অন্তত বাইক সার্ভিসিং করা উচিত।
বছরে কত বার সার্ভিসিং করানো উচিত?
যদি ব্যবহারকারী প্রচুর বাইক চালান, তাহলে বছরে অন্তত ৫ থেকে ৬ বার বাইক সার্ভিসিং করানো উচিত। নাহলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে। এমনকী কেউ যদি নিজের বাইকটি অল্প সময়ের জন্যও চালান এবং মাসে মাত্র কয়েক বার বাইক নিয়ে বেরোন, সেক্ষেত্রেও কিন্তু ব্যবহারকারীর বাইকটি বছরে কমপক্ষে তিন বার সার্ভিসিংয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া উচিত।