Activa e-এর ব্যাটারি পরিবর্তনযোগ্য। যে কোনও সময় বদলে ফেলা যাবে। QC1-এ স্থায়ী ব্যাটারি সেটআপ দেওয়া হয়েছে যা স্ট্যান্ডার্ড চার্জিং কেবলের মাধ্যমে কাজ করে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্য ৩০টি বৈদ্যুতিক যান চালুর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কোম্পানি। ভারতে বাড়তি ইভি চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই দুটি মডেল জনপ্রিয় হবে বলে আশা করছে কোম্পানি। বিশেষ করে শহুরে এলাকায়।
advertisement
আরও পড়ুন- ল্যান্ডফলের আগেই…! IMD দিল ‘ফেনজল’ নিয়ে চরম আপডেট! কী হবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা?
Activa e – এর ফিচার:
Activa e হোন্ডার ইঞ্জিন চালিত Activa-এর বৈদ্যুতিক ভার্সন। তবে ডিজাইন একেবারে নতুন। স্কুটারের সামনে দেওয়া হয়েছে এলইডি হেডল্যাম্প এবং টার্ন ইন্ডিকেটর। একটি স্লিক এলইডি ডিআরএলও দেওয়া হয়েছে, যার ফলে লুক বদলে গিয়েছে একদম। কমপ্যাক্ট ফ্লোরবোর্ড রয়েছে। সিটও অনেকটা বড়। ব্যাজটি টেল ল্যাম্প ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত।
কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে Activa e – এর বুকিং শুরু হবে। ডেলিভারি শুরু হবে ফেব্রুয়ারি থেকে। Activa e – এর সিটের নীচে রয়েছে 1.5 kWh পরিবর্তনযোগ্য ব্যাটারি সেটআপ। পাওয়ার সরবরাহ হয় হুইল-সাইড মোটরের মাধ্যমে, যা ৪.২ কিলোওয়াট (৫.৬ বিএইচপি) শক্তি উৎপন্ন করার ক্ষমতা রাখে।
সর্বোচ্চ ৬.০ কিলোওয়াট (৮ বিএইচপি) পর্যন্ত এটা বাড়ানোও যাবে। ফুল চার্জে ১০২ কিমি পথ পাড়ি দেবে Activa e। এতে রয়েছে তিনটি রাইডিং মোড – স্ট্যান্ডার্ড, স্পোর্ট এবং ইকন।
আরও পড়ুন- পক্ষীপ্রেমীদের জন্য সুখবর, জানুয়ারি মাসেই সুন্দরবনে শুরু হচ্ছে তৃতীয় পাখি উৎসব
QC1-এর ফিচার:
হোন্ডা QC1 ভারতের বাজারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। স্বল্প দূরত্বের ভ্রমণের জন্য আদর্শ। ডিজাইনে Activa e – এর সঙ্গে কিছু মিল রয়েছে, বিশেষ করে অ্যাপ্রন এবং সাইড প্যানেলে। তবে এলইডি ডিআরএল নেই। ফলে অন্যরকম দেখায়।
এতে রয়েছে 1.5 kWh ফিক্সড ব্যাটারি প্যাক এবং ডেডিকেটেড চার্জার। কমপ্যাক্ট ইন-হুইল মোটর পাওয়ার সরবরাহ করে, যা ১.২ কিলোওয়াট (১.৬ বিএইচপি) থেকে ১.৮ কিলোওয়াট (২.৪ বিএইচপি) পর্যন্ত শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম।
একবার ফুল চার্জে হোন্ডা QC1 ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে বলে দাবি করেছে কোম্পানি। এতে ৫-ইঞ্চি এলসিডি ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল, সিটের নিচে স্টোরেজ এবং একটি ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোর্টও দেওয়া হয়েছে।