ছত্তিসগঢ়ে বেআইনি বেটিং অ্যাপ সিন্ডিকেট এবং Mahadev Book-এর উপর অভিযান চালানো হয়েছিল। তখনই অ্যাপের বেআইনি কার্যকলাপের কথা প্রকাশ্যে আসে। আপাতত Mahadev Book-এর মালিকরা হেফাজতে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘আমার স্কুল-কলেজের সময় এরকম…’! ‘আপত্তিকর’ ভিডিও ফাঁস নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন রশ্মিকা
কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছত্তিসগঢ় সরকারের ধারা ৬৯এ আইটি আইনের আওতায় ওয়েবসাইট/অ্যাপ বন্ধ করার জন্য সুপারিশ করার সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে। যদিও সেটা তারা করেনি। এমনকী প্রায় দেড় বছর তদন্ত করা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার তেমন কোনও অনুরোধও জানায়নি। প্রথম এবং একমাত্র আর্জি এসেছিল ইডি-র কাছ থেকে। আর তারপরেই সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু একই ধরনের আর্জি জানানোর জন্য ছত্তিসগঢ় সরকারকে কেউ প্রতিহত করেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: রশ্মিকার ‘আপত্তিকর’ ভিডিও ফাঁস নিয়ে সরব অমিতাভ! দাবি আইনি পথে হাঁটার
ইডি-র অভিযোগ, মহাদেব অ্যাপ দুর্নীতির সরাসরি সুবিধাভোগী ছিলেন খোদ ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। এদিকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্ত অসীম দাসকে। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। ইডি-র দাবি, অসীম দাস স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ছত্তিসগঢ়ের শাসক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৫ কোটি টাকা এনেছিলেন তিনি। এমনকী ওই অভিযুক্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নামও নিয়েছেন। অসীম দাসের দাবি, তাঁর কাছে থাকা বাজেয়াপ্ত হওয়া নগদ টাকা সব শেষে মুখ্যমন্ত্রীরই হাতে পৌঁছনোর কথা ছিল।
ইডি-র একটি সূত্রের দাবি, অসীম দাসকে আসলে ‘সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে পাঠানো নগদ ক্যুরিয়র’ হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছিল। যাতে তিনি ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টির নির্বাচনী খরচের জন্য বিপুল পরিমাণ নগদ পৌঁছে দিতে পারেন।
ইডি-র আরও দাবি, জেরা করার সময়ে অসীম দাস বলেন, মহাদেব অ্যাপের ম্যানেজমেন্টে যাঁরা শীর্ষস্তরে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন শুভম সোনি ওরফে পিন্টু। ওই পিন্টুই তাঁকে ৫.৩৯ কোটি টাকা নগদ দিয়ে বলেছিলেন যে, সেটা ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগীদের হাতে তুলে দিতে হবে।
ইডি আরও বলেছে যে, জেরায় অসীম স্বীকার করেছেন যে, নগদ সরবরাহ করার জন্য তাঁকে বিশেষ ভাবে দুবাই থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এমনকী নগদ হস্তান্তরের জন্য বিশেষ নির্দেশও পেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে এ-ও বলা হয়েছিল যে, হোটেল ট্রিটনের রুম নম্বর ৩১১-তে তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে। এরপরে টাকা হস্তান্তরের নির্দেশ আসবে। ইডি-র দাবি, অসীম দাসের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ফোন থেকে যে ফরেন্সিক এবং ডিজিটাল প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে অসীমের দাবি মিলে যাচ্ছে।
অন্য দিকে চলতি মাসে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বাঘেল তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার দায় চাপিয়েছেন ইডি-র উপর। শুধু তা-ই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন। তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যে শাসকদল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য মোদি এবং শাহ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সাহায্য নিচ্ছেন।” আবার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, “কংগ্রেস অবৈধ অর্থ ব্যবহার করে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তহবিল চালাচ্ছে। তাঁর আরও বক্তব্য, এই দলটি ‘মহাদেবকে’-ও রেহাই দেয়নি। যা ভগবান শিবের আর এক নাম।”