মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, এত নাম থাকতে খামোখা কেন অরণ্যের এই আদিম পশুর নামেই নামকরণ হল?
কারণ জানলে অবাক হতেই হয়। আসলে, গরিলা গ্লাস হল ক্ষার-অ্যালুমিনোসিলিকেটের একটি পাতলা শিট যা আয়ন-বিনিময় পদ্ধতির মাধ্যমে শক্তিশালী করা হয়। তবে এটি নতুন কোনও আবিষ্কার নয়। বা বলা ভাল, বিশেষ করে মোবাইল ফোনের জন্য তৈরিও হয়নি। এটি আদতে ১৯৬০-এর দশকে কর্নিং ইনকর্পোরেটেড দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠলেই ঘাড়ে-পিঠে অসহ্য ব্যথা? জটিল রোগের ইঙ্গিত! জানুন কী করবেন
ডেভেলপমেন্টের পরে এর নামকরণ করা হয় কর্নিং। যাই হোক, সেই সময়ে এর ব্যবহারিক প্রয়োগগুলি বিমান চলাচল এবং ফার্মাসিউটিক্যাল এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল, যেখানে মজবুত ও হালকা কাচের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, স্মার্টফোনে গরিলা গ্লাস ২০০৬ সাল থেকে নিজের জায়গা করে নেয়। স্টিভ জোবস সেই সময়ে কর্নিং ইনকর্পোরেটেডের সিইও ওয়েন্ডেল উইকসের কাছে অ্যাপলের আইফোনের জন্য কিছু শক্তিশালী এবং স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী গ্লাসের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। সেখান থেকেই শুরু হয় ফোনে এর ব্যবহার।
এই জায়গায় এসে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে এই নামটি কীভাবে এল? কর্নিং নামটা তো ঠিকই ছিল, তাহলে অসুবিধাটা কোথায় হল? আসলে, এবার ‘কর্নিং’-এর পরিবর্তে তার গ্লাসকে ট্রেডমার্ক করতে ‘গরিলা গ্লাস’ নাম ব্যবহার করা হয়েছিল কারণ এটি গরিলার মতোই শক্তপোক্ত ছিল। ‘গরিলা গ্লাস’ নামটি উপাদানটির স্থায়িত্ব এবং শক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত, যা বন্য এই পশুর দৃঢ়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। নামটি কাঁচের দৃঢ়তা এবং ক্ষতি-প্রতিরোধের উপর যেমন জোর দেয়, তেমনই অন্য দিকে এটিকে বন্য গরিলার শারীরিক শক্তি এবং নমনীয়তার সঙ্গে তুলনা করে।