গুগলের তরফে জানানো হয়েছে যে, অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ বা তার বেশি যে কোনও সংস্করণের স্মার্টফোনে এই ট্র্যাকার কাজ করবে। সোজা কথায়, গত কয়েক বছরে বাজারে যে সব স্মার্ট ফোন বিক্রি হচ্ছে, প্রতিটাতেই এই ট্র্যাকার ফিট করে যাবে। গুগল প্লে সার্ভিস থেকে এই ট্র্যাকার ফোনে এনেবল করা সম্ভব। ট্র্যাকারে নতুন কোনও বৈশিষ্ট্য এলে নোটিফিকেশন আসবে। তখন আপডেট করে নিলেই হবে।
advertisement
ট্র্যাকারে রয়েছে তিনটি মোড। নোটিফাই, অ্যাকশন এবং স্ক্যানিং। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই ফিচার অন করলেই আশপাশে থাকা অজানা অচেনা ব্লুট্রুথ ট্র্যাকার সম্পর্কে সতর্কতা আসতে শুরু করবে। অ্যালার্ট বাটনে আসবে নোটিফিকেশন। সেখানে ট্র্যাকারের অবস্থান সম্পর্কে বিশদ বিবরণ থাকবে। এরপরই শুরু হবে আসল খেলা। যে ট্র্যাক করছে, তার অজান্তেই ইউজার নিজের অবস্থান বদলে ফেলতে পারবেন।
এখানেই শেষ নয়। গুগল ইউজারকে ট্র্যাকার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও দেবে। যে ডিভাইস থেকে ট্র্যাক করা হচ্ছে, তার সিরিয়াল নম্বর তো আসবেই। সেই সঙ্গে যে ট্র্যাক করছে, তার মোবাইলের শেষ চারটি নম্বরও জানা যাবে। আশপাশে এরকম আরও অজানা ট্র্যাকার থাকলে সেগুলিও স্ক্যান হতে থাকবে। সঙ্গে স্টকারকে ধোঁকা দিতে কী করা উচিত, সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীকে গাইডও করবে গুগল।
আরও পড়ুন: ব্লুটুথ স্পিকার না ওয়াই-ফাই স্পিকার, আপনার জন্য কোনটা সেরা? দেখে নিন কেনার আগে
অ্যাপলের এয়ারব্যাগে এই ফিচার রয়েছে। কোনও আইফোন ইউজার যদি ব্যাগে বা জামায় ট্র্যাকার লাগিয়ে থাকে, তাহলে তা-ও শনাক্ত করবে ‘আননোন ট্র্যাকার অ্যালার্ট’। এ থেকে বাঁচতে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, সে সম্পর্কে ধাপে ধাপে গাইডও করা হবে। আগামী দিনে এই অ্যালার্ট টুলে অন্যান্য ট্র্যাকার সতর্কতাও সমান ভাবে কাজ করবে। ফলে বিশ্বব্যাপী অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য এই টুল যে অত্যন্ত উপযোগী হতে চলেছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।