কোম্পানি কোথায় খরচ করবে?
Garuda Aerospace-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, কোম্পানির ড্রোন উৎপাদন ক্ষমতা, স্কেল অপারেশন এবং উৎপাদন পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী করার কাজেই ব্যবহার করা হবে এই বিনিয়োগ। এর পাশাপাশি একটি গবেষণা ও উন্নয়ন এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আরও একটি অংশ বিনিয়োগ করা হবে। আসলে এই গবেষণা ও উন্নয়ন এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিফেন্স-গ্রেড ড্রোন ডিজাইন এবং তৈরি করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- ISIS-এর নাম করে কোচ গম্ভীরকে খুনের হুমকি! গুজরাত থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কী বললেন?
Garuda Aerospace-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অগ্নিকশ্বর জয়প্রকাশ বলেন যে, এই Series B ফান্ডিং আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং এবং উদ্ভাবনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের ড্রোন প্রযুক্তি তৈরির ক্ষেত্রে আরও দ্রুত বিকাশে সাহায্যও করবে। তিনি আরও বলেন যে, ভারতকে আসলে উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যেই এই বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এদিকে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, এই ফান্ডের একটি অংশ নতুন ডিজাইন সেন্টার এবং ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি পোর্টফোলিও (পেটেন্ট ইত্যাদি) সম্প্রসারণের কাজেও ব্যয় করা হবে। বর্তমানে Garuda Aerospace-এর ২০টিরও বেশি পেটেন্টের একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও রয়েছে।
ভেঞ্চার ক্যাটালিস্টসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপূর্ব রঞ্জন শর্মা বলেন যে, আমরা ভারতে এমন দেশীয় কোম্পানিগুলিকে সমর্থন করতে চাই, যারা প্রযুক্তিগত রূপান্তর আনতে পারে এবং আর্থ-সামাজিক প্রভাব ফেলতে পারে। গরুড় অ্যারোস্পেসের পরিষেবাগুলির মধ্যে অন্যতম হল – ড্রোন তৈরি বা ড্রোন ম্যানুফ্যাকচারিং, ড্রোন-অ্যাজ-আ-সার্ভিস (DaaS) এবং পাইলট প্রশিক্ষণ। সরকার, কৃষি ক্ষেত্র, পরিকাঠামো সংস্থা এবং প্রতিরক্ষা বিভাগগুলিকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ড্রোন সলিউশনস সরবরাহ করে কোম্পানিটি।
ড্রোন রুলস ২০২১ এবং ভারত সরকারের পিএলআই স্কিমের মতো উদ্যোগগুলি দেশে দেশীয় ড্রোন তৈরির বিষয়ে আরও প্রচার করছে, যা Garuda Aerospace-এর মতো কোম্পানিগুলিকে একটি বড়সড় সুযোগ প্রদান করছে।