এনসিপিসিআর দিল্লি পুলিশ মারফত ট্যুইটার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, দুইটি ঘটনার প্রেক্ষিতে ট্যুইটার ইন্ডিয়ার কাছে তথ্যাবলী চেয়ে পাঠায় কমিশন। সেই মাফিক জবাব দেয় তারা। কিন্তু, কমিশনের অভিযোগ, ভুয়ো তথ্য প্রদান করেছে সংস্থা। শুধু তাই নয়, পকসো আইন লঙ্ঘণের অভিযোগ তোলা হয়েছে মাইক্রো-ব্লগিং সাইটটির বিরুদ্ধে।
এনসিপিসিআর-এর অভিযোগ, ট্যুইটারে চাইল্ড পর্ণোগ্রাফি, শিশু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ডার্ক ওয়েব ইত্যাদির একাধিক লিঙ্ক পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, সেই লিঙ্কগুলি ডিলিট করার বিষয়ে কিছুই জানায়নি সংস্থা। এমনকি নেওয়া হয়নি কোনও পদক্ষেপ।]
advertisement
কমিশনের অভিযোগ, শিশু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত এ ধরনের লিঙ্কগুলির বিষয়ে উদাসীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। সে কারণেই যতদিন না এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম নিরাপদ হচ্ছে, ততদিন তা শিশুদের জন্য ব্যান করা হোক, কেন্দ্রকে আর্জি কমিশনের। প্রিভেনশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস বা পকসো আইন। শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিতে ২০১২ সালে চালু হয় এই আইন। এই আইন ট্যুইটার ভঙ্গ করেছে বলে কমিশনের অভিযোগ।
এদিকে কেন্দ্রের নয়া গাইডলাইন ইস্যুতেও বেশ খানিকটা কোনঠাসা এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি। সোমবার সকালেই ট্যুইটারের কাছে দিল্লি হাইকোর্টের একটি নোটিস যায়। সেখানে এই কেন্দ্রীয় আইন নিয়ে তাদের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। দিল্লি হাইকোর্টের নোটিস পেতেই ট্যুইটারের সুর কার্যত নরম হয়। তারা এদিন জানিয়েছে, দেশের আইন মেনে তারা ইউজারদের গোপনীয়তা রক্ষা করবে। ফলে কার্যত এদিন ট্যুইটারও স্পষ্ট করে দেয় যে, তারা বাকি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মতোই দেশের আইন মানতে চলেছে।