কিন্তু ইভি-র ক্ষেত্রে সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। EV স্কুটারের মালিকরা যে প্রধান সমস্যাগুলির সম্মুখীন হন, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল – রেঞ্জের অবনতি। কিন্তু এতে উদ্বিগ্ন বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিজের কেয়ার রুটিনে কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই ইলেকট্রিক স্কুটারের রেঞ্জ উন্নত করা সম্ভব। সঙ্গে একবার মাত্র চার্জ বা সিঙ্গেল চার্জেই দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব।
advertisement
OEM-Prescribed টায়ার প্রেশার বজায় রাখা:
টায়ার প্রেশারের বিষয়টা অনেক সময়ই উপেক্ষা করে যান গাড়ির মালিক বিশেষ করে ইভি স্কুটারের মালিকরা। মনে রাখা আবশ্যক যে, ইভি স্কুটারের রেঞ্জের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে আন্ডার-ইনফ্লেটেড টায়ার। আসলে এই ধরনের টায়ার হলে মাটির সঙ্গে টায়ার সারফেসের স্পর্শ বেশি হয়। যা রোলিং রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়। ফলে ইঞ্জিনকে আরও বেশি কাজ করতে হয়। আর এনার্জিও প্রচুর খরচ হয়।
আরও পড়ুন- ৮৩০০ টাকা সস্তায় কিনুন Redmi Note 13 Pro Plus 5G! জানুন কোথায় পাবেন এই অফার
থ্রটল এবং ব্রেক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোমলতা বজায় রাখা:
ব্যাটারিকে অতিরিক্ত কয়েক কিলোমিটার চালিয়ে নিতে হলে অ্যাক্সিলারেটর এবং ব্রেক যতটা সম্ভব যত্নের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ জোরে জোরে ব্রেক ব্যবহার করা চলবে না। আর ইভি স্কুটার সব সময় একটা নির্দিষ্ট গতিতে এবং পাওয়ার সেভিং মোডে চালাতে হবে। এতে ব্যাটারির চার্জ সাশ্রয় হয়। ফলে দীর্ঘ রেঞ্জ পাওয়া যায়।
অপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স অফ রাখা:
বেশিরভাগ EV স্কুটারেই আজকাল Bluetooth, স্মার্ট নেভিগেশনের মতো একাধিক ফিচার থাকে। আর স্কুটারে চেপে কোথাও দূরে গেলে ভাল রেঞ্জ পেতে ব্যাটারি পাওয়ার সংরক্ষ করা আবশ্যক। তাই এই ফিচারগুলি অফ করে রেখে দিতে হবে। দিনের বেলায় বেরোলে এলইডি আলো স্যুইচ অফ করে দিতে হবে। প্রয়োজন না হলে Bluetooth এবং রিফ্লেক্টর লাইটও বন্ধ রাখা যাবে।
রাইডিং মোড বাছাই:
ইলেকট্রিক স্কুটারে ভিন্ন ভিন্ন রাইডিং মোড থাকে। এর মধ্যে Eco মোডটি তো অসাধারণ। স্কুটারের রেঞ্জ বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। অন্যদিকে Sport মোডটি আবার মজাদার। কিন্তু এটি এফিশিয়েন্সি কমিয়ে দেয়। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে মোড বেছে গাড়ি চালাতে হবে।