১৫ মাসে ১৮০০০ পাবলিক চার্জারে পাবলিক চার্জিং পরিকাঠামোর উন্নয়ন:
Tata Motors দ্বারা প্রকাশিত Indian EV Report থেকে জানা যাচ্ছে যে, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সারা দেশ জুড়ে পাবলিক চার্জিংয়ের পরিকাঠামো ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে ৫৫০০টি থেকে পাবলিক চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা এখন বেড়ে ২৩০০০টিরও বেশি হয়ে গিয়েছে। দ্রুত এই বৃদ্ধি আসলে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কোল্যাবোরেটিভ উদ্যোগেরই ফলাফল। মাত্র ১৫ মাসেই ১৮০০০টিরও বেশি পাবলিক চার্জার অন্তর্ভুক্ত করেছে OEM-গুলি।
advertisement
প্রতি ৫০ কিলোমিটারে একটি করে চার্জিং স্টেশন:
সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ৯১ শতাংশ ন্যাশনাল হাইওয়ে-তে এখন ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ফাস্ট চার্জার রয়েছে। সমস্ত ন্যাশরাল হাইওয়ে-তে ১০০ শতাংশ ফাস্ট-চার্জার কভারেজ অর্জন করেছে কর্নাটক, হরিয়ানা, দিল্লি, কেরল, বিহার, চণ্ডীগড়, পঞ্জাব, গোয়া, ত্রিপুরা, সিকিম, পুদুচেরি, দমন ও দিউ, দাদরা ও নগর হাভেলির মতো রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি। সবথেকে বড় কথা হল, শীর্ষস্থানীয় ২৫ শতাংশ চার্জার ইতিমধ্যেই লাভজনক পর্যায়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন- ফোনের কভারে টাকা রাখেন? এখনই সতর্ক হোন! নাহলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন
গ্রাহকদের আচরণে পরিবর্তন:
গ্রাহকদের আচরণ এবং বিশ্বাসের পরিবর্তন চার্জিং পরিকাঠামোর বিকাশ গ্রাহকদের আচরণেও পরিবর্তন এনেছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসের মধ্যেই ৩৫ শতাংশ Tata EV-র গ্রাহকই মাসে অন্তত একবার ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করেন। যেটা ২০২৩ সালের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়েছে।
রিপোর্টে আরও দাবি, বিগত ২ বছরে ৭৭ শতাংশ Tata EV গ্রাহক এমন ট্রিপ করেছে, যার জন্য পাবলিক চার্জিং স্টেশনের প্রয়োজন হয়। ৫০ শতাংশ Tata EV গাড়ির মালিক ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি ট্রিপ কমপ্লিট করেছেন। প্রায় ১৪,০০০ মালিক নিজেদের EV-র জন্য প্রাথমিক ভাবে পাবলিক চার্জিংয়ের উপর নির্ভর করেন। এটি EV-র প্রতি গ্রাহকদের ভরসা বৃদ্ধির প্রতিফলন ঘটায়।
গ্রাহকদের ইতিবাচক সাড়া:
EV অ্যাডপশন অ্যান্ড ইউসেজ প্যাটার্ন পজিটিভ কনজিউমার রেসপন্স EV-র বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ৬৫ শতাংশ পিন কোডে এখন কম করে একটি রেজিস্টার্ড EV রয়েছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, দেশ জুড়ে EV নেওয়ার পরিমাণ বাড়ছে। EV গ্রাহকদের ব্যবহারের প্যাটার্নের পরিবর্তন তুলে ধরে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ২০২৫ সালে ৮৪ শতাংশ ব্যবহারকারী EV-কে নিজেদের প্রধান গাড়ি হিসেবে বিবেচনা করেন, যেখানে ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৭৪ শতাংশ।