এক্ষেত্রে প্রায় ত্রাতা হিসেবে দেখা দিতে পারে বৈদ্যুতীন গাড়ি বা ইলেকট্রনিক ভেহিকলস (EVs)। এই বিষয়টি নিয়ে প্রচুর কথা হলেও এসব গাড়ির নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্টেও ধরা পড়েছে, প্রথাগত গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতীন যানের উপর এখনও ভরসা করতে পারেন না ক্রেতারা।
আরও পড়ুন- Honda-র এই মোটরবাইকে রয়েছে মারাত্মক ত্রুটি! ডিসেম্বরেই বড় সিদ্ধান্ত নিল সংস্থা
advertisement
২০২০-২৩ সালে প্রায় ৩.৩ লক্ষ বৈদ্যুতীন গাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, ওই তিন বছরে প্রচলিত গাড়ির তুলনায় প্রায় ৭৯ শতাংশ বেশি গোলমাল করেছে EV।
সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গাড়ির মালিকরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন, বৈদ্যুতিক মোটর, লিক এবং ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম-সহ মোট ২০টি ক্ষেত্রে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন।
সেই ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ ইভির চেয়ে, প্লাগ-ইন হাইব্রিড বৈদ্যুতিক যান বা PHEV-র সমস্যা আরও বেশি। প্রচলিত গাড়ির তুলনায় প্রায় ১৪৬ শতাংশ বেশি।
Auto Testing-এর সিনিয়র ডিরেক্টর জেক ফিশার জানিয়েছেন, আজকাল বেশিরভাগ ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করা হচ্ছে লিগ্যাসি অটোমেকারদের দ্বারা যা ইভি প্রযুক্তিতে নতুন। ফিশার যোগ করেছেন যে ইভি মালিকদের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে, ইলেকট্রিক ড্রাইভ মোটর, চার্জিং এবং ইভি ব্যাটারির সমস্যা।
আরও পড়ুন- নতুন গাড়ি কিনেছেন, অথচ রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে কিছুই জানেন না? রইল টিপস
এই প্রতিবেদন থেকে বোঝা যায়, প্রাথমিক কিছু জটিলতার কারণেই সমস্যা হচ্ছে। আগামী প্রজন্মের বৈদ্যুতীন গাড়ির ক্ষেত্রে হয়তো এই সমস্যা নাও থাকতে পারে।
হাইব্রিড-এ ভরসা—
ওই সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, হাইব্রিড গাড়িগুলি অনেক বেশি জনপ্রিয়। প্রচলিত পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত যানবাহনের চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য বলে মনে করছেন ব্যবহারকারীরা।
প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানী ইঞ্জিন এবং একটি বৈদ্যুতিক মোটর—দু’রকম ফিচার থাকা সত্ত্বেও, প্রচলিত মডেলগুলির তুলনায় হাইব্রিড গাড়িতে প্রায় ২৬ শতাংশ কম সমস্যা ধরা পড়েছে।
তবে হাইব্রিড গাড়িগুলিতে আধুনিক বৈদ্যুতীন গাড়িগুলির মতো উন্নত ফিচার নেই। তাই যাঁরা এই সব ফিচারের চাহিদা ব্যতিরেকে শুধু জ্বালানী সাশ্রয়ের কথা ভাববেন, তাঁদের জন্য হাইব্রিডই সেরা।