লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন—
অন্য যেকোনও যানের মতোই, বৈদ্যুতীন স্কুটার এবং বাইকগুলিকে আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসে (RTO) রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। এজন্য চালকের পরিচয়পত্র, ঠিকানার প্রমাণ এবং বিমার প্রমাণ জমা দিতে হবে। তবে কারও পেট্রল চালিত গাড়ির লাইসেন্স থাকলে সেটা বৈদ্যুতীন স্কুটার বা বাইক চালানোর জন্যও ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন- YouTube স্লো? এখন এই টুল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে!
advertisement
RTO অফিসে প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করা হলে, RTO গাড়ির জন্য একটি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (RC) এবং একটি নম্বর প্লেট ইস্যু করবে৷
বিমা—
ভারতে বৈদ্যুতীন বাইকের জন্য তৃতীয় পক্ষের বিমা থাকা বাধ্যতামূলক। এটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের ব্যক্তি বা সম্পত্তির যেকোনও ক্ষতি কভার করে। নিজের গাড়ির ক্ষতিও কভার করে এমন বিস্তৃত বিমা থাকাই ভাল। বেশ কয়েকটি বিমা কোম্পানি রয়েছে যা বৈদ্যুতীন গাড়ির জন্য বিমা পলিসি অফার করে
নম্বর প্লেট—
অবশ্যই RTO-র জারি করা নম্বর প্লেট থাকতে হবে। নম্বর প্লেটটি গাড়ির সামনে এবং পিছনে লাগাতে হবে। বৈধ রেজিস্ট্রেশন নম্বরও থাকতে হবে। নম্বর প্লেটটি যেন স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।
চার্জিং স্টেশন—
ভারতে EV-এর চার্জিং স্টেশনের জন্য কোনও নির্দিষ্ট নিয়মবিধি নেই৷ তবে গাড়ির প্রস্তুতকারক সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত চার্জিং স্টেশন ব্যবহার করাই ভাল।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ সার্টিফিকেট (PUC)—
বৈদ্যুতীন যান পরিবেশবান্ধব। এথেকে কোনও ক্ষতিকারক দূষিত পদার্থ নির্গমন হয় না। তবু বৈদ্যুতিক স্কুটার বা বাইকের জন্য একটি PUC শংসাপত্র বাধ্যতামূলক৷ আইনি প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি এটি বিমার জন্যও প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- সামনে এল ভারতে Samsung Galaxy S24 Ultra, S24+, S24-এর দাম! এক ঝলকে সঙ্গে দেখুন
ব্যাটারি সার্টিফিকেশন—
ব্যবহৃত ব্যাটারি অবশ্যই অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (ARAI) বা অন্য কোনও অনুমোদিত পরীক্ষা সংস্থা দ্বারা প্রত্যয়িত হতে হবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আরোহী এবং গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে৷
ভেহিকল মডিফিকেশন—
RTO থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন না নিয়ে বৈদ্যুতিক স্কুটার বা বাইকে কোনও রকম পরিবর্তন করা বেআইনি। গাড়ির মূল স্পেসিফিকেশন পরিবর্তন করে কোনও পরিবর্তন করলে শাস্তি বা জরিমানা হতে পারে। EV-তে কোনও পরিবর্তন করতে চাইলে RTO থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিতে হবে।
ইমারশন স্ট্যান্ডার্ড—
বৈদ্যুতীন স্কুটার এবং বাইক খেতে ক্ষতিকর পদার্থ নির্গত হয় না। তবু সরকার নির্ধারিত নির্গমন মান মেনে চলা প্রয়োজন। গাড়ির বিমার জন্য এই পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।