সম্প্রতি দুবাইতে একটি মোটর ইভেন্টে ঠিক এটাই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সোনালি রঙের হায়াবুসার একটি ভিডিও বাইকার এবং বিলাসবহুল গাড়িপ্রেমীদের বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। অটোমোটিভ ইনফ্লুয়েন্সার থেরেশ কুমারের ক্লিপটি এখন একটি আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে।
দুবাইতে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া সোনালি হায়াবুসা
থেরেশ কুমারের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হতবাক হয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করছেন, “ওহ, এটা কী?” কাছে থাকা একজন কর্মী হেসে উত্তর দেন, “এটি সম্পূর্ণ সোনা দিয়ে তৈরি একটি হায়াবুসা।” কুমার এর পর এই অবিশ্বাস্য বাইকের দাম জিজ্ঞাসা করেন, উত্তরটিও চোখধাঁধানো- ৭,০০,০০০ দিরহাম, ভারতীয় মুদ্রায় যা মোটামুটি ১.৬৭ কোটি টাকা।
advertisement
সরোভস্কি ডায়মন্ডস এবং একটি গোল্ডেন ফিনিশ
ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, কুমার যত কাছে এগোচ্ছেন, ততই ছোট ছোট ডিটেল দেখে অবাক না হয়ে থাকতে পারছেন না। “এই বোল্টগুলোও কি সোনার তৈরি?” তিনি জিজ্ঞাসা করলে জবাবে কর্মীরা নিশ্চিত করছেন- হ্যাঁ! বাইকের ঝলমলে সাজসজ্জা দেখে কুমার রসিকতা করে বলেন, “আমার মনে হয় এগুলো নকল হিরে।” সঙ্গে সঙ্গে ওই কর্মী হেসে ভুল শুধরে দেন, “কী? এগুলো আসল সরোভস্কি হিরে!”
এই হায়াবুসার প্রতিটি ইঞ্চিই যেন সবাইকে মুগ্ধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে; শুধু গোল্ডেন ফিনিশের দাম মাত্র ৫৬,০০০ দিরহাম (ভারতীয় মুদ্রায় যা মোটামুটি ১৩.৩ লাখ টাকা)। কর্মীরা গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন, এই রঙের কাজটি মি. ড্যানি করেছেন, যিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মোটরগাড়ি শিল্পীদের একজন।
শুধু প্রদর্শনের জন্য নয়
বাইকের চেহারাটি আকর্ষণীয় হলেও এটি কেবল প্রদর্শনের জন্য নয়। কুমার এর বিশাল টায়ারটি দেখে তাই বলেছেন, “ভাই, টায়ারটি বুগাটির চেয়েও বড়!” সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানতে পারেন যে এটি একটি ৩৬০ সাইজের টায়ার। কর্মী খুলে বলেন যে, বাইকটিতে একটি টার্বোচার্জড ৪০০-হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন রয়েছে।
আরও পড়ুন- এই ৫ এআই প্রম্পট কপি-পেস্ট করে তৈরি করুন দিওয়ালি উদযাপনের ছবি
ভিডিওটি শেষের সময়ে কুমার চিৎকার করে বলেন, “এটি আমার দেখা সবচেয়ে ক্রেজি হায়াবুসা। আমি এটিকে হায়াবুসার রাজা বলব!” ২০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে শেয়ার করা সেই ভিডিওটি ১.৬২ কোটিরও বেশি ভিউ এবং প্রচুর কমেন্ট পেয়েছে। একজন ইউজার লিখেছেন, “হায়াবুসা চিরকালের।” আরেকজন লিখেছেন, “স্বপ্নের বাইক।” অন্য একজন লিখেছেন, “হাহাহা, আসল সরোভস্কি ডায়মন্ডস।” আরেকজন লিখেছেন, “আমি কেবল কিনব এবং আমার সংগ্রহে রাখব, আমার এটা দরকার।”
