এ থেকে কী বোঝা যায়? এই নম্বরগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লুকিয়ে থাকে। যেমন টায়ারের ধরণ, রিমের সাইজ, লোড ইনডেক্স, স্পিড রেটিং ইত্যাদি। টায়ার কেনা এবং সঠিক ব্যবহারের জন্য এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
টায়ারের ধরণ: টায়ারের ধরণ বোঝাতে ইংরেজি বর্ণ ব্যবহার করা হয়। যেমন ‘R’ মানে হল রেডিয়াল টায়ার।
রিমের সাইজ: টায়ার কোন সাইজের রিমের জন্য তৈরি এই সংখ্যা থেকে সেটা বোঝা যায়।
advertisement
লোড ইনডেক্স: এটা নির্দেশ করে টায়ার কতটা ওজন বহন করতে সক্ষম।
স্পিড রেটিং: এই সংখ্যা থেকে বোঝা যায়, এই টায়ার সর্বোচ্চ কত গতিতে নিরাপদে চালানো যেতে পারে।
একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। ধরে নেওয়া যাক, কোনও টায়ারে 225/50R17 94V লেখা রয়েছে। তাহলে এ থেকে টায়ার সম্পর্কে কী কী জানা যাচ্ছে দেখে নেওয়া যাক।
প্রথম সংখ্যা (225): এই সংখ্যা নির্দেশ করে টায়ারের প্রস্থ 225 মিমি। সাইডওয়ালে প্রথম তিনটি সংখ্যা টায়ারের প্রস্থ বোঝায়।
পরবর্তী সংখ্যা (50): এটি টায়ারের সাইডওয়ালের উচ্চতা নির্দেশ করে। যেমন, এখানে 225/50 লেখা আছে, যার মানে সাইডওয়ালের উচ্চতা টায়ারের প্রস্থের 50 শতাংশ, অর্থাৎ 112.5 মিমি।
আরও পড়ুন- ফোনে তাড়াতাড়ি নেট শেষ হয়ে যায়? ডেটা বাঁচানোর সহজ টিপস শিখে নিন
ইংরেজি বর্ণ (R): এটা থেকে টায়ারের ধরণ জানা যায়। যেমন, R মানে রেডিয়াল প্লাই টায়ার, যা সাধারণ বাইকে ব্যবহৃত হয়।
রিমের সাইজ (17): ইংরেজি বর্ণের পর লেখা সংখ্যা রিমের সাইজ বোঝায়। এখানে 17 লেখা আছে, মানে এই টায়ার 17 ইঞ্চি রিমের জন্য তৈরি।
লোড ইনডেক্স (94): ইংরেজি বর্ণের পরের দুই সংখ্যা নির্দেশ করে পুরো ফোলানোর পর এই টায়ার সর্বাধিক কত ওজন বহন করতে পারে।
স্পিড রেটিং (V): টায়ারের শেষে থাকা বর্ণ নির্দেশ করে সর্বোচ্চ কত গতিতে এই টায়ার চালানো নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সংখ্যা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে চালক তাঁর বাইকের জন্য সঠিক টায়ার বেছে নিতে পারবেন। এতে যেমন নিরাপত্তা বাড়বে, তেমনই সঠিক টায়ারের কারণে বাইকের পারফরম্যান্সও ভাল হবে। শুধু তাই নয় জ্বালানি খরচও বাঁচবে।