TRENDING:

কমবয়সীদের গ্রাস করছে ডিজিটাল ডিমেনশিয়া, সাবধান না হলে কিন্তু বিপদ!

Last Updated:

Digital dimensia- ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, কম্পিউটার, টিভি এবং আরও অনেক ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটি জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: কখনও কাজ, তো কখনও সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোলিং, কখনও বা মুভি দেখা, কখনও আবার গেম খেলা – যে কারণেই হোক না কেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে লেগে থাকার কারণে শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ফলে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে।
advertisement

আসলে ফোনের অত্যধিক ব্যবহার এবং এর উপর সম্পূর্ণ রূপে নির্ভরশীলতার কারণে মানুষ ডিজিটাল ডিমেনশিয়ার শিকার হচ্ছে।

ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, কম্পিউটার, টিভি এবং আরও অনেক ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন- বিদায় হয়নি বৃষ্টির! কবে থেকে বদল আবহাওয়ায়? দুর্যোগে কী বরবাদ পুজো?

advertisement

এটি জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। আর ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্কের সমস্যা বাড়ছে। আজকাল ডিজিটাল ডিমেনশিয়ার সমস্ত লক্ষণ তরুণ সম্প্রদায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। যার কারণে তাঁদের রোজনামচাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার জেরে লেখাপড়া আর কাজ করতেও ভাল লাগছে না।

একাগ্রতা এবং ভুলে যাওয়ার সমস্যা বেড়েছে:

সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, তরুণ সম্প্রদায়ের মস্তিষ্ক এবং মানসিকতার উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে স্মার্টফোন। নিয়মিত ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা একটানা মোবাইল ব্যবহারের কারণে মনঃসংযোগের অভাব হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে ভুলে যাওয়ার সমস্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

advertisement

বারমের সরকারি মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রধান ডা. গিরীশ বানিয়া Local 18-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন যে, স্ক্রিন টাইম দিনে তিন ঘণ্টার বেশি হলে তা আসক্তি হয়ে যায়।

আরও পড়ুন- বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন কলকাতার তরুণী, বর্ধমানে হয়ে গেল চরম সর্বনাশ

তিনি বলছেন, এখন ডিজিটাল ডিমেনশিয়ার অনেক রোগী জেলা হাসপাতালে আসছেন।

advertisement

এমনকী ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা ডিজিটাল ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি। বিশেষ করে অনেকের স্ক্রিন টাইম ১২-১৫ ঘণ্টা, যা বেশ বিপজ্জনক।

রাতে বেশি সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করলে তা ঘুমের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, নীল আলো মস্তিষ্ককে জাগ্রত রাখে এবং ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা কমায়।

advertisement

ডিজিটাল ডিমেনশিয়া কী?

ডিজিটাল বিপ্লবের দুনিয়ায় ফোন ছাড়া বোধহয় কারও একমুহূর্তও চলে না। ফোনের অত্যধিক ব্যবহার এবং তার উপর নির্ভরশীলতার কারণে মানুষ ডিজিটাল ডিমেনশিয়ার শিকার হচ্ছেন। সেই কারণে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হচ্ছে।

এর থেকে বাঁচার উপায়:

ডা. গিরীশ বানিয়ার মতে, ঘুমোনোর ১ ঘণ্টা আগে ডিজিটাল ডিটক্সের নিয়ম মেনে চলা উচিত। স্ক্রিন টাইম নির্ধারণের পাশাপাশি বিরতিও নিতে হবে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

একজনকে ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বেরিয়ে বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত। আর সেই সঙ্গে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত এবং স্ক্রিন টাইম ৩ ঘণ্টারও কম রাখা উচিত।

বাংলা খবর/ খবর/প্রযুক্তি/
কমবয়সীদের গ্রাস করছে ডিজিটাল ডিমেনশিয়া, সাবধান না হলে কিন্তু বিপদ!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল