সাইবার অপরাধীরা সাধারণ মানুষকে শিকার বানাতে এখন হাতিয়ার করছে Google-কে। ইদানীং Google-এ ভুয়ো কাস্টমার কেয়ার নম্বর থেকে প্রতারণা করছে বলে জানা গিয়েছে। এই ভুয়ো নম্বরের ফাঁদে পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ।
Google থেকে কোনও ভাবেই কোনও সংস্থার ‘কাস্টোমার কেয়ার’ বা গ্রাহক পরিষেবা প্রতিনিধির নম্বর খুঁজে বের করা উচিত নয়। এমনকী অনলাইনে থাকা কোনও তথ্য বিশ্বাস করার আগে ভাল করে সব দিক খতিয়ে দেখে নিতে হবে।
advertisement
ইন্টারনেটে কাস্টোমার কেয়ার বা কাস্টমার হেল্পলাইন নম্বরের নামে চলছে প্রতারণা। শুধু তাই নয়, সাইবার অপরাধীরা ওয়েবসাইট তৈরি করে নামী সংস্থার নামে ভুয়ো হেল্পলাইন নম্বরও দিয়ে রাখছে অনলাইনে। এমনকী এই ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলিকে Google-র র্যাঙ্কিংয়ে তুলে আনতে অর্থ ব্যয়ও করে জালিয়াতরা।
কেউ Google-এ কোনও সংস্থার হেল্পলাইন নম্বর সার্চ করলে ‘হাই র্যাঙ্কিং’য়ের কারণে ভুয়ো নম্বর প্রথমে উপস্থিত হতে পারে। সাধারণত আমরা প্রথম সার্চ রেজাল্টের উপর ভরসা করি। সেখানেই ক্লিক করে ফেলি। আসলে ওটি ফাঁদ।
ওই নম্বরে ফোন করলে সাইবার অপরাধীরা এমন ভাবে কথা বলবে যে ভুয়ো বলে মনেই হবে না। তারপর তারা হাতিয়ে নেবে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য।
আরও পড়ুন: চলতে চলতে ফ্যানের স্পিড কমে গিয়েছে? নতুন এর মতো ঝড়ের গতির জন্য করুন এই কাজ
কী ভাবে এড়ানো যায় বিপদ—
১. অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। তাড়াহুড়ো করে কোনও অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা যাবে না।
২. Google-এ কাস্টোমার কেয়ার নম্বর না খুঁজে কোম্পানির বুকলেট, প্যামফলেট বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করাই ভাল।
৩. পাসবুক, চেকবুক বা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের পিছনে ব্যাঙ্কের কাস্টোমার কেয়ার নম্বর লেখা থাকে।
৪. ওয়েবসাইটের ওয়েবড্রেস বা URL এর সামনে https লেখা থাকলে লেনদেন করা নিরাপদ। অন্যথায় নয়।
৫. ক্যাশব্যাক, ইনস্ট্যান্ট গিফট বা ডিসকাউন্টের অজুহাতে ফোন নম্বর, অ্যাকাউন্ট নম্বর বা আধারের মতো ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া পোর্টাল বা মোবাইল অ্যাপ থেকে দূরত্ব রাখতে হবে।
৬.কোনও লেনদেন নিয়ে সন্দেহ হলে অবিলম্বে জাতীয় সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন-১৯৩০ অভিযোগ করা দরকার। cybercrime.gov.in –এ অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারেন।
