এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর নেই। বিশাল বড় অগ্নিকাণ্ডও নয়। তবুও এই আগুন চিন্তায় ফেলেছে বহু মানুষকে। বিশেষ করে বহু গাড়ির চালক, বহু গাড়ির মালিক চিন্তায় পড়েছেন।
আসলে হয়েছিল কী? প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর এবিএল টাউনশিপ এলাকায় একটি গাড়ি বাড়ির সামনে দাঁড় করানো ছিল। হঠাৎ করেই সেই গাড়িটিতে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই দাউ দাউ করে জ্বলে যায় আগুন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল। আসে দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। কিন্তু কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড? কী বলছেন গাড়ির মালিক?
advertisement
আরও পড়ুন- কেকেআরের ম্যাচ, জুহি চাওলা আর আসেন না মাঠে! শোনা যাচ্ছে ‘বড়’ একটা কারণ
এই বিষয়ে গাড়ির মালিক জানিয়েছেন, তিনি কাজের জন্য সাইট ভিজিটে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। তাই বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর হঠাৎ করেই তিনি বাইরে থেকে চিৎকার শুনতে পান। বেরিয়ে এসে দেখতে পান তার গাড়িটি আগুনের গ্রাসে। তিনি বলছেন, গাড়ি নিয়ে তিনি বেরিয়েছিলেন। গাড়ি গরম ছিল। তার মধ্যেই কোনও কারণেশর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছে বলে তার অনুমান।
এই বিষয়ে একজন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত কুমার সেন বলছেন, গরমের সময় গাড়ি অথবা বাইকের দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত। কখনও এ সময় গাড়ি অথবা বাইকে ট্যাংক ফুল করে তেল ভরা উচিত নয়। পাশাপাশি রোদে যাতে সেই গাড়ি পার্কিং করা না হয়, সেদিকেও যথা সম্ভব নজর দিতে হবে।
আরও পড়ুন- আইপিএল থেকে ছিটকে যাবে ‘এই’ দল! প্লে-অফের আগে বিদায়! বিরাট সম্ভাবনা
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখতে হবে গাড়ির ইঞ্জিন যেন বেশি গরম হয়ে না যায়। যার জন্য গাড়ির ইঞ্জিন কুলিং সিস্টেম অর্থাৎ কুলেন চেক করতে হবে। যদি ইঞ্জিন কুলিং সিস্টেমে কোনও গলদ থাকে, তা অবশ্যই দ্রুত ঠিক করাতে হবে। নয়তো গাড়ি বেশি গরম হলে শর্ট-সার্কিটের আশঙ্কা বাড়বে। আর তার ফলে এমন অগ্নিকাণ্ড হতে পারে।
নয়ন ঘোষ