ইতিমধ্যে চাঁদে সূর্যোদয় হয়েছে। সূর্যের আলোয় ফের কি ঘুম ভাঙবে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের? ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্য উঠেছে। ফের ১৪ দিন ঝকঝক করবে আলো। তাতে যদি যন্ত্রপাতির ব্যাচারি চার্জ হয় তবে ফের জেগে উঠতে পারে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। সেই পরিস্থিতিতে চন্দ্রযান-৩ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো। যদি সেই কাজে সফল হয় ইসরো, তাহলে চন্দ্রপৃষ্ঠে আরও কয়েকদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারবে ল্যান্ডার এবং রোভার।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনি কি খালি ভুলে যান? অ্যালজাইমার্সের প্রাথমিক লক্ষণ কি না মিলিয়ে নিন
চন্দ্রযান-৩-এর যন্ত্রপাতিগুলির শক্তির মূল উৎস সূর্য। সৌরশক্তিতে কাজ করছে তারা। ফলে সূর্য ডুবে গেলে বিক্রম বা প্রজ্ঞানের সমস্ত যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ার কথা। তাদের আয়ু মাত্র ১৪ দিন। ফলে নিয়ম মেনেই ‘দিন ফুরিয়েছে’ বিক্রম ও প্রজ্ঞানের। ইতিমধ্যেই ইসরো এক্স হ্যান্ডেলে জানায় চন্দ্রযান ৩-এর রোভার তার কাজ সম্পন্ন করেছে। তবে ফের জেগে উঠলে হতে পারে নতুন আরও কিছুর আবিষ্কার।
আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে’ পড়ল রোভার প্রজ্ঞান, চন্দ্রযান ৩ কি তবে শেষ? ইসরোর নয়া দাবিতে তোলপাড়
আর সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যে তথ্য পাওয়া যাবে, সেটাকে বোনাস হিসেবেই দেখছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও এ বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী নন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চাঁদে রাতের তাপমাত্রা অনেকটা কমে যায়। কখনও কখনও পারদ নামতে পারে হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচেও। এই তীব্র ঠান্ডা চন্দ্রযান-৩ সহ্য করতে পারবে কি না তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। যদি বিক্রম ও প্রজ্ঞান না জাগে তবে চিরকালের জন্য হয়তো ভারতের লুনার অ্যাম্বাসেডার হয়ে চাঁদের বুকেই থেকে যাবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান।