চাঁদের দক্ষিণ মেরু এখনও অনাবিষ্কৃত। পৃথিবীর আর কোনও দেশ সেখানে পৌঁছতে পারেনি। সেখানেই পৌঁছে গিয়েছে ভারত। চূড়ান্ত পর্যায়ের এই অবতরণ প্রক্রিয়ায় ১৯ মিনিট সময় লেগেছে। তৈরি হয়েছে ইতিহাস। চাঁদের জমিতে নেমে কী কী করবে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান? ইসরোর টার্গেট কী?
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম ছুঁয়ে ফেলল চাঁদের জমি, ঐতিহাসিক কীর্তি ভারতের
advertisement
আরও পড়ুন: ইসরোর চন্দ্রযান ৩-এর টার্গেট অবিশ্বাস্য, চাঁদে নেমে কী কী খুঁজবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান?
বিক্রম যখন চাঁদে নেমেছে, তখন সেখানে সবে ভোর হয়েছে। ভোরের আলো ফোটার কিছু পরেই বিক্রমের দরজা খুলে গিয়েছে। তার পেট থেকে বেরিয়ে এসেছে প্রজ্ঞান। আগামী ১৪ দিন রোভারটি চাঁদে কাজ করবে। এর শক্তির উৎস সূর্য। চাঁদে রয়েছে প্রচুর ধুলো। কেন এত ধুলো, তাও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের কথায়, চাঁদে মাধ্য়াকর্ষণ শক্তি থাকলেও, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তুলনায় তা মাত্র এক চতুর্থাংশ হওয়ায়, ধুলোকণা আবার মাটিতে পড়ে মিশে যেতে তুলনামূলক- ভাবে অনেকটাই বেশি সময় লাগে।
রোভারের সঙ্গে রয়েছে একাধিক দিকনির্দেশক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান চালাবে সে। চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানই এঁকে দেবে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং ইসরোর লোগো। প্রজ্ঞান চাঁদ থেকে যা যা তথ্যসংগ্রহ করবে, তার সব কিছুই পাঠিয়ে দেবে ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রম সেই বার্তা পাঠাবে পৃথিবীতে। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে ফেলেছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ও রোভার।