চাঁদে ওজন কত কমে?
মহাকাশ নানা রহস্যে ভরা। গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা দিনভর এই রহস্যের সন্ধান করে চলেছেন। মানুষ আজ চাঁদে পৌঁছতে সফল হয়েছে। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদে প্রথম পা রাখেন মহাকাশচারীরা। চাঁদের পৃষ্ঠে পা রাখার পরে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন অনুভূত হয় শুধুমাত্র দেহের ওজনে। বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদে আমাদের দেহের ওজন পৃথিবীতে আমাদের দেহের ওজনের তুলনায় প্রায় ছয় গুণ কম মনে হয়। উদাহরণ দিয়ে বলা যাক বিষয়টা। ধরা যাক, পৃথিবীতে আমাদের দেহের ওজন ৭৮ কেজি। তাহলে চাঁদে সেই ওজন হবে তার ছয় ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ মাত্র ১৩ কেজি।
advertisement
আরও পড়ুন: রুমালের রঙই বদলে দেবে জীবন, রাশি মিলিয়ে কিনুন আজই, জীবনে টাকার অভাব থাকবে না
ওজনের পার্থক্য কীভাবে গণনা করা যায়?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পৃথিবীর তুলনায় চাঁদে ওজনের পার্থক্য বার করার কোনও সূত্র আছে কি না। এর উত্তর হল, হ্যাঁ। সূত্র রয়েছে। আসলে এটি গণনা করার জন্য দুটি সূত্র রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিক্রমকে চাঁদের বুকে পালকের মতো নামানোর থ্রাস্টার তৈরি করেছেন রানিগঞ্জের ছেলে, প্রথম চাকরি ইসরোতে
প্রথম সূত্র:
পৃথিবীতে একজন মানুষের ওজন × ১৬.৫ ÷ ১০০ = চাঁদে একজন মানুষের ওজন
এখন ধরা যাক, পৃথিবীতে কারওর ওজন ৬০ কেজি। তাহলে চাঁদে সেই ব্যক্তির ওজন কত হবে?
সূত্র অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির ওজন হবে –
৬০ কেজি × ১৬.৫ ÷ ১০০ = ৯.৯ কেজি
যার অর্থ হল, একজন ৬০ কেজি ওজনবিশিষ্ট মানুষের ওজন চাঁদে ১০ কেজিরও কম হবে।
দ্বিতীয় সূত্র:
চাঁদের ওজন = (পৃথিবীর ওজন / ৯.৮১) * ১.৬২
৯.৮১ = পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি (মিটার প্রতি বর্গ সেকেন্ড)
১.৬২ = চাঁদের মহাকর্ষীয় বল (মিটার প্রতি বর্গ সেকেন্ড)
এখন এই সূত্র অনুযায়ী ওজন হবে –
(৬০) কেজি / ৯.৮১) * ১.৬২ = ৯.৯ কেজি
চাঁদে ওজন কম লাগে কেন?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পৃথিবীর তুলনায় চাঁদে মানব দেহের ওজন কমে যায় কেন? এই সব ঘটে মহাকর্ষের বড় পার্থক্যের কারণে। আসলে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মান পৃথিবীর মানের থেকে ছয় গুণ কম। এই কারণে চাঁদে একজন মানুষের ওজন পৃথিবীর মোট ওজনের ছয় ভাগের এক ভাগ থেকে যায়। আসলে ওজন এবং ভর দুটি ভিন্ন জিনিস। ওজন এক ধরনের শক্তি। চাঁদে পৌঁছনোর পরে ভর পৃথিবীর সমান থাকবে, তবে দেহের ওজন কম বলে অনুভূত হবে।