সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, এই রোবোটিক ডিভাইসগুলিতে সেন্সর লাগানো রয়েছে যা যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা মাপতে সাহায্য করবে। ‘ফেব্রি আই’তে একটি ক্যামেরা ইন্সটল করা রয়েছে, যার দ্বারা যাত্রীদের আনাগোনা লক্ষ্য রাখা হবে। অন্য দিকে, ‘ক্যাপ্টেন অর্জুন’ হল একটি মুভিং ডিভাইস যার মাধ্যমে যাত্রীরা নিজেরাই থার্মাল স্ক্যানিং করতে পারবেন। এই আরেকটি সুবিধা রয়েছে, তা হল অডিয়ো-ভিস্যুয়াল ফিচার। এর মধ্যে সেন্সর রয়েছে যা ফ্লোরকে স্যানিটাইজ করতে সাহায্য করবে এবং এটিতে ব্যবহার করা মাস্ক গুলি ফেলে দেওয়া যাবে। এ ছাড়াও টিকিট চেক করার জন্য অটোমেটেড টিকিট ম্যানেজিং অ্যাক্সেস বানান হয়েছে যা ডিজিট্যালি টিকিট চেক করবে।
advertisement
রেলের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, লাগেজ এবং অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে ইনফেকশন ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সিএসএমটি, দাদার, এলটিটি এবং নাগপুরের মতো বড় স্টেশন গুলিতে অটোমেটেড ব্যাগেজ র্যা পিং এবং স্যানিটাইজেশনের সুবিধা শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়াও পা দিয়ে চালিত একটি মেশিন যার মাধ্যমে লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ পাওয়া যাবে এবং জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এলটিটি, থানে, কল্যাণ এবং অন্যান্য স্টেশনগুলিতে গাড়িতে ওঠার আগে এবং যাত্রার সময় শরীরের তাপমাত্রা লক্ষ্য করার জন্য একটি ‘হেলথ এটিএম কিয়সক্’ বসানো হয়েছে। অন্যান্য স্টেশন গুলিতেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই কিয়সক্ গুলিতে বেসিক ল্যাব টেস্ট এবং জরুরি সুবিধা গুলি পাওয়া যাবে। যাত্রীরা খুব কম টাকায় বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষাগুলো করাতে পারবেন। যেমন- রক্তচাপ, ব্লাড সুগার, বডি মাস ঈন্ডেক্স এবং আরও কিছু পরীক্ষা করানোর সুবিধা পাবেন। এর আগে রেলওয়ে হাসপাতাল গুলিতে রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা দেওয়ার জন্য রোবোটিক ডিভাইস গুলি ব্যবহার করা হয়েছে।