ইঞ্জিন গরম থাকলে জলের ঘনীভবন: ইঞ্জিন গরম হয়ে গেলে জল এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মিশ্রণ তৈরি হয়। ইঞ্জিন ঠাণ্ডা হয়ে গেলে চেম্বার থেকে সেই গ্যাস বেরিয়ে যায়। সাধারণত সকালের দিকে এটা বেশি দেখা যায়। আসলে সারাদিন চলার পর রাতে গাড়ি বন্ধ থাকে। ইঞ্জিন ঠান্ডা হয়। তখনই গাড়ির সাইলেন্সার বা একজস্ট পাইপ থেকে জল ঝরে পড়তে দেখা যায়।
advertisement
ক্যাটালিটিক কনভার্টার বাইপ্রোডাক্ট: গাড়ির ক্যাটালিটিক কনভার্টারের কাজ হল ক্ষতিকারক নির্গমনগুলিকে এমন জিনিসে রূপান্তর করা যা নিষ্কাশন বা বেরিয়ে যাওয়ার আগে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। গাড়ির এই উপাদানটি অনেকগুলি উপজাত উৎপাদন করে। তার মধ্যে একটি হল জলীয় বাষ্প।
আরও পড়ুন- গ্যারাজে পড়ে থাকে গাড়ি? কীভাবে ভাল রাখবেন শখের বাহন, রইল টিপস
হট ইঞ্জিন কনডেনসেশন: গাড়ির ইঞ্জিন যখন প্রথমবার গরম হয় তখনও একজস্ট পাইপে জল আসতে পারে। কারণ গরম করার প্রক্রিয়াতে ঘনীভবন নিষ্কাশন সিস্টেমের ভিতরেও ঘটতে পারে যা গিয়ে শেষ হয় সাইলেন্সারে। কিন্তু গাড়ি কিছুক্ষণ চলার পরেও যদি জল পড়া বন্ধ না হয়, তখন বুঝতে হবে কিছু গড়বড় হয়েছে। এটা গাড়ির কোনও সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
ধোঁয়া এবং জল নির্গমন: সাইলেন্সার থেকে যদি ধোঁয়া আর জল একসঙ্গে বেরতে শুরু করে তাহলে সাবধান। এরকম হলে পোড়া তেলের মতো গন্ধও বের হয়। এরকম হলে বুঝতে হবে গাড়ির কোনও পিস্টনে ফাটল ধরেছে। অবশ্য ইঞ্জিনে কুল্যান্ট লিক হওয়ার লক্ষণও হতে পারে। টেইলপাইপ থেকে নির্গত তরলের সঙ্গে মিষ্টি গন্ধ ছাড়লে আরও গুরুতর ইঞ্জিন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন- রড দিয়ে জল গরম করছেন? খুব সাবধান, ছোট্ট ভুলে হতে পারে বড় সর্বনাশ!
সাইলেন্সার বা একজস্ট পাইপ থেকে জল পড়লে চিন্তার কিছু নেই। যদি না অন্য কোনও লক্ষণ থাকে। আর যদি শুধুই জল ঝরে, বুঝতে হবে ইঞ্জিন নিখুঁতভাবে কাজ করছে।