এখানেই শেষ নয়, এই সেগমেন্টের মাইক্রো এসইউভি গাড়িগুলিও এখন বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। শহুরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের জন্য এই গাড়ি আশীর্বাদের থেকে কম কিছু নয়। কারণ এই ধরনের গাড়িগুলিতে উঠলে এসইউভি-র অনুভূতি পাওয়া যায়, সেই সঙ্গে আকারে ছোট হওয়ায় এই গাড়িগুলিকে যানজটের মধ্যে বিশেষ বেগ পেতে হয় না। আরাম, ফিচার, মাইলেজ এবং পাওয়ারের নিরিখে বিচার করলে গোটা দেশেই মাইক্রো এসইউভি-র জুড়ি মেলা ভার। আজ জনপ্রিয় মাইক্রো-এসইউভি Tata Punch-এর কথাই বলা যাক। ছোট নেক্সনের তালিকায় নিজের পরিচিতি তৈরি করেছে টাটার এই মাইক্রো-এসইউভি। গ্লোবাল এনসিএপি-তে ৫-স্টার রেটিংও অর্জন করেছে এই গাড়িটি। সবথেকে বড় কথা হল, গাড়িটি দেখতেও দুর্দান্ত। আর তা রীতিমতো ফুল সাইজ এসইউভি-কে টক্কর দিতে সক্ষম।
advertisement
শক্তিশালী ইঞ্জিন:
টাটা পাঞ্চ গাড়িটিতে ১.২ লিটার ন্যাচারালি অ্যাসপিরেটেড ৩ সিলিন্ডার রেবেট্রন ইঞ্জিন রয়েছে। এই ইঞ্জিনটিতে ৮৪ বিএইচপি পাওয়ার রয়েছে। এর সর্বোচ্চ টর্ক ১১৩ এনএম। গাড়িটিতে ৫ স্পিড ম্যানুয়াল বা স্বয়ংক্রিয় গিয়ারবক্সের বিকল্পও রয়েছে। এই ইঞ্জিনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, আর শহরের পাশাপাশি হাইওয়েতে চলার জন্য এই গাড়িটিকে বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। প্রস্ততকারী সংস্থার দাবি, এই ইঞ্জিনের সাহায্যে পাঞ্চ প্রতি লিটারে ২০ কিলোমিটারেরও বেশি মাইলেজ দিয়ে থাকে।
দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য:
গাড়িটিতে ৭ ইঞ্চি স্ক্রিনের পাশাপাশি হরমন কোম্পানির ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম থাকে। একই সময়ে ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, লেদার র্যাপড ফ্ল্যাট বটম স্টিয়ারিং হুইল, ক্রুজ কন্ট্রোল, ক্লাইমেট কন্ট্রোল, স্টিয়ারিং মাউন্টেড কন্ট্রোল, সিটি ও ইকো ড্রাইভ মোড, হাইট অ্যাডজাস্টেবল ড্রাইভার সিটের মতো ফিচারও পাওয়া যায়। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ফিচারও দারুন। কারণ গাড়িটিতে রয়েছে ২টি এয়ারব্যাগ, স্পিড সেন্সিং ডোর লক, চাইল্ড লক, এবিএস, ইবিডি, রিয়ার পার্কিং সেন্সর।
পকেটে পড়বে না চাপ:
মধ্যবিত্তরা যাতে কিনতে পারেন, সেদিকে বিশেষ নজর রেখেছে টাটা। পাঞ্চের প্রারম্ভিক মূল্য ৬ লক্ষ টাকা এক্স-শোরুম। তবে এর টপ ভ্যারিয়েন্টের দাম ৯.৫২ লক্ষ টাকা এক্স-শোরুম। চারটি ভ্যারিয়েন্টে মিলছে গাড়িটি – পিওর, অ্যাডভেঞ্চার, অ্যাকমপ্লিশড এবং ক্রিয়েটিভ। ব্যাঙ্ক কিংবা কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজেই লোন নিয়ে এই গাড়ি কেনা যেতে পারে।