তবে এই ট্রেন্ড এখনও জাঁকিয়ে বসেনি। অধিকাংশ মডেলের বাইকেই কিক স্টার্ট এবং সেলফ স্টার্ট দুটো অপশনই থাকে। যদিও অনেকে মনে করেন, কিক স্টার্টই ভাল। এতে ইঞ্জিন ভাল থাকে, দীর্ঘদিন চলে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে?
আরও পড়ুন- ভারতে লঞ্চ হল OnePlus 13 সিরিজ; দেখে নিন এর দাম আর ফিচার্স
advertisement
কিক স্টার্ট এবং সেলফ স্টার্টের মধ্যে কোনটা ভাল জানার আগে, এই দুটোর পার্থক্য বোঝা জরুরি। কিক স্টার্টে চালককে বাইক ম্যানুয়ালি স্পার্ক করাতে হয়। এতে একবার, দু’বার কিংবা তার বেশি কিক মারার প্রয়োজন পড়তে পারে। চালক যেই কিক মারেন, বাইকের ক্র্যাঙ্কশাফট ঘুরতে শুরু করে। পিস্টন এবং পিস্টন হেডের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ফলে ফ্রিকশন তৈরি হয়। এরপর ইঞ্জিনে পেট্রোল এবং বাতাস একসঙ্গে গিয়ে স্পার্ক তৈরি করে। ফলে বাইক স্টার্ট নেয়।
অন্য দিকে, সেলফ স্টার্টে এই সব কিছুই ঘটে, তবে এতে কিক মারার প্রয়োজন হয় না। শুধু একটা বাটন প্রেস করতে হয়। এই বাটন স্টার্টার মোটরে ইলেকট্রিক কারেন্ট পাঠায়। যার ফলে ক্র্যাঙ্কশাফট ঘুরতে শুরু করে। কিক স্টার্টে যা যা হয়, এতেও সেগুলো হয়। এবং শেষ পর্যন্ত বাইক চালু হয়।
আরও পড়ুন- ভারতে কে প্রথম মোবাইলে কথা বলেছিলেন, জানেন কী? নামটা শুনলে অবাক হবেন!
এবার মূল প্রশ্নে আসা যাক। কোনটা লাভজনক? টু-হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিক স্টার্ট দিয়ে বাইক চালু করার দুটি সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, সারারাত বন্ধ থাকার কারণে বাইকের ইঞ্জিন ঠান্ডা হয়ে যায়। বিশেষ করে শীতকালে। ইঞ্জিনের ফায়ারিং মেকানিজমও বসে যায়। এই পরিস্থিতিতে কিক স্টার্ট দিয়ে বাইক চালু করলে, মোটরে চাপ, ঘর্ষণ, বাতাস, ফুয়েল সঠিকভাবে পৌঁছতে পারে।
দ্বিতীয় কারণ হল, বাইক দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকলে স্পার্ক হতে দেরি হয়। স্পার্ক থেকেই ইঞ্জিন চালু হয়। চালক যখন কিক মারেন তখন স্পার্ক পূর্ণ শক্তিতে ফিরে আসে। ব্যাটারির আয়নও সক্রিয় হয়ে যায়। তবে নতুন বাইকে উন্নত মডেলের এবং অত্যাধুনিক ডিজাইনের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলোতে সেলফ স্টার্ট দিলেও কোনও সমস্যা হয় না।