বলে রাখা ভাল, যে কোনও গাড়ির বেস মডেলে শুধুমাত্র প্রাথমিক ফিচার থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল স্ট্যান্ডার্ড ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, এসি, পাওয়ার উইন্ডোজ এবং সেন্ট্রাল লকিং ইত্যাদি। আর টপ মডেলে থাকে অ্যাডভান্সড ফিচার। এর মধ্যে অন্যতম হল – স্মার্ট ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, টাচ স্ক্রিন, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি ইত্যাদি। এর পাশাপাশি প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম, সানরুফ এবং ক্রুজ কন্ট্রোলের মতো ফিচারও রাখা হয়।
advertisement
নিরাপত্তাজনিত ফিচার:
গাড়ির বেস মডেলে থাকে স্ট্যান্ডার্ড এয়ারব্যাগ, এবিএস এবং অন্যান্য প্রাথমিক সেফটি ফিচার। আবার টপ মডেল থাকে অ্যাডভান্সড সেফটি ফিচার। এর মধ্যে অন্যতম হল এয়ারব্যাগ, টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম, অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম (এডিএএস), পার্কিং সেন্সর এবং রিয়ার ক্যামেরা।
ইঞ্জিন:
যে কোনও গাড়ির বেস মডেলে একেবারে সাধারণ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় লো পাওয়ার আউটপুট। কিন্তু গাড়ির টপ মডেলের মধ্যে থাকে আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন। যা আরও ভাল পারফরম্যান্স প্রদান করে। শুধু তা-ই নয়, এটি আরও ফিচার প্রদান করে। এর মধ্যে অন্যতম হল অল-হুইল ড্রাইভ অথবা টার্বো ইঞ্জিন ফিচার।
ডিজাইন:
গাড়ির বেস মডেল এবং টপ মডেলের লুক এবং ডিজাইনের মধ্যেও থাকে এক বিশেষ ফারাক। বেস মডেলের রয়েছে সাধারণ ছিমছাম ডিজাইন এবং স্ট্যান্ডার্ড হুইলস। অন্যদিকে টপ মডেলের রয়েছে প্রিমিয়াম লুক। এর মধ্যে অন্যতম হল স্পোর্টি বাম্পার্স, অ্যালয় হুইল এবং দুর্দান্ত সব রঙ। এই গাড়ির বেস মডেলের রয়েছে সাধারণ ইন্টেরিয়র, কাপ হোল্ডার, ফেব্রিক সিট প্রভৃতি। সেখানে টপ মডেলের ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ইন্টেরিয়র দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম হল- লেদার সিট, এলিগ্যান্ট ড্যাশবোর্ড এবং অ্যাডজাস্টেবল সিটিং সিস্টেম।
আরও পড়ুনঃ KKR vs RR: কেকেআরের দ্বিতীয় ম্যাচেই বড় বদল! কারা থাকছেন প্রথম একাদশে? জেনে নিন বিস্তারিত
উভয়ের দামে পার্থক্য কেন?
বেস মডেল এবং টপ মডেলের মধ্যে দামের ফারাকের অন্যতম কারণ হল – অতিরিক্ত ফিচার, আরও ভাল টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন এবং প্রিমিয়াম ডিজাইন। গাড়ি নির্মাতারা যখন টপ মডেল লঞ্চ করে, তখন তারা হাই-কোয়ালিটি মেটেরিয়াল ও টেকনিক্যাল ফিচার ব্যবহার করে। যা গাড়ির দাম অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি আরও ফিচার এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন বিকল্পের কারণে উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পায়।