১০০ সিসি-র বাইকের তুল্যমূল্য আলোচনা করলে একটা সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। এখানে Bajaj Platina 110 এবং Honda SP 125-এর খুঁটিনাটির হদিশ দেওয়া হল।
Bajaj Platina 110: কমপ্যাক্ট কমিউটার বাইক Bajaj Platina 110। উন্নত ইঞ্জিন। দুটি ভ্যারিয়েন্ট। বাজাজ প্লাটিনা 110 ABS এবং বাজাজ প্লাটিনা 110 ড্রাম। এতে অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- TVS নিয়ে এল নয়া টু হুইলার, শক্তিশালী ইঞ্জিন-ডিস্ক ব্রেক, বাইক যেন চলবে হাওয়ায়!
অর্থাৎ ব্রেক কষলে টায়ার আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। চালক বাড়তি নিরাপত্তা পান। সামনে ২৪০ মিমি ডিস্কের সঙ্গে একক চ্যানেল এবিএস এবং পিছনে রয়েছে সিবিএস প্রযুক্তির ১১০ মিমি ড্রাম ব্রেক।
বাইকটিতে 115.45 cc, 4 স্ট্রোক, এয়ার-কুলড ইঞ্জিন রয়েছে, যা ভাল মাইলেজ প্রদান করে। ইঞ্জিনে বাজাজের বিখ্যাত DTS-i প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে DRL লাইট, রাতে দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণেও কোনও অসুবিধা হবে না।
Bajaj Platina 110 মাইলেজের জন্য সারা দেশে পরিচিত। কম পেট্রোলে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। যাঁদের প্রতিদিন বাইকে ঘোরাঘুরি করতে হয়, তাঁদের জন্য আদর্শ।
Honda SP 125: অন্য দিকে, Honda SP 125 বাইকে হোন্ডার এনহ্যান্সড স্মার্ট পাওয়ার প্রযুক্তি সহ 125 cc, ফুয়েল-ইনজেক্টেড ইঞ্জিন রয়েছে। সঙ্গে সাইলেন্ট স্টার্ট ACG স্টার্টার, ইঞ্জিন চালু করার সময় কোনও শব্দ হবে না।
আরও পড়ুন- ৩৫০০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে iPhone 14, এই ধামাকা অফারের লাভ তুলবেন কীভাবে
এই ইঞ্জিন 7,500rpm-এ 10.72bhp শক্তি এবং 6,000rpm-এ 10.9Nm পিক টর্ক জেনারেট করে। কোম্পানির দাবি, এর মাইলেজ আগের থেকে ১৬ শতাংশ বেশি। লাগানো হয়েছে নতুন এলইডি হেডল্যাম্প সেটআপ, ফুয়েল ট্যাঙ্ক, স্পোর্টি লুকিং গ্রাফিক্স, নতুন ৫ স্পোক অ্যালয় হুইল এবং ক্রোম শিল্ড সহ নতুন এক্সজস্ট।
Bajaj Platina 110 বনাম Honda SP 125: প্রথমেই দাম দেখা যাক। বাজাজ প্ল্যাটিনার দাম কম, ৮২,০৭৫ টাকা (অন রোড)। অন্য দিকে, Honda SP 125-এর দাম এক লাখ টাকার কাছাকাছি (অন রোড)। মাইলেজ বাজাজ প্ল্যাটিনাতেই বেশি ৭০ কেএমপিএল। হোন্ডার মাইলেজ ৬০ কেএমপিএল। তবে ক্ষমতা এসপি-র বেশি, ১০.৭২ বিএইচপি। সেখানে হোন্ডার ৮.৪ বিএইচপি।