জানা গিয়েছে, রাজনের একমাত্র সন্তান সিদ্ধার্থ, যিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করে এখন সিলিকন ভ্যালিতে কাজ করছেন, তিনিই কোনও এক উপলক্ষে বাবাকে একটা Apple Watch Series 5 উপহার দেন। দেখিয়ে দেন ভাল করে- কী ভাবে এটা ব্যবহার করতে হয়।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল মারফত বাবার অসুস্থতা আর আরোগ্যের গোটা বৃত্তান্তই আমাদের জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ। লিখেছেন যে এক রাতে আচমকাই Apple Watch-এ পরীক্ষা করার পরে তাঁর বাবার অ্যারিথমিয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের হারের মতো গুরুতর অসুখের ঘটনা জানা যায়।
advertisement
স্বাভাবিক ভাবেই এর পর আর সময় নষ্ট না করে ঘটনাটা জানানো হয় পারিবারিক ডাক্তারকে। ডাক্তার জানতেন যে রাজনের হাইপারটেনশনের সমস্যা আছে। তাই তিনি অ্যারিথমিয়ার ব্যাপারটায় গুরুত্ব দেন এবং নানা পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হন যে Apple Watch সঠিক তথ্যই দিয়েছে। পরীক্ষায় এটাও ধরা পড়ে যে রাজনের হার্ট সার্জারির প্রয়োজন আছে।
এই জায়গাতেই এসে সমস্যা তৈরি করে করোনাকালীন পরিস্থিতি। এর জেরে অপারেশন কিছুটা পিছিয়ে দিতে হয় বলে জানা গিয়েছে। আর মাঝের সময়টুকুতে রাজন এবং তাঁর পরিবার তো বটেই, এমনকি ডাক্তারেরও না কি ভরসার জায়গা ছিল ওই Apple Watch। যত দিন না সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন, নিয়মিত Apple Watch-এর মাধ্যমে ECG পরীক্ষা করে তার রিপোর্ট ডাক্তারকে দিতেন রাজন।
সিদ্ধার্থের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট মারফত অন্য অনেকের মতো এই ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন Apple-এর চিফ একজিকিউটিভ অফিসার টিম কুকও। ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দ প্রকাশ করেছেন তিনি, রাজনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সিদ্ধার্থকে বার্তাও পাঠিয়েছেন কুক। তাঁর আশা, রাজনের মতো অন্যরাও এ ভাবে উপকৃত হবেন Apple Watch মারফত!
প্রযুক্তির সবটাই তা হলে মন্দ নয়, কী বলুন!