সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল টুলকিট মামলায় টুইটারের দিল্লি ও গুরুগ্রামের অফিসে অভিযান চালায়। এই বিরুদ্ধে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। নয়া আইটি বিধির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্ত হয়েছে ট্যুইটার। এই সূত্রে ভারতে নিজেদের সংস্থার কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তার কথা বলেন তারা। পাশাপাশি 'বাক স্বাধীনতা' খর্ব হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে। এরপরেই এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ট্যুইটারকে (Twitter) তীব্র ভর্ৎসনা করে কেন্দ্র। তারা জানায়, আন্দাজে কথা বলা বন্ধ করে আইন মেনে চলার চিন্তাভাবনা করুক এই সংস্থা।
advertisement
সূত্রের খবর, ট্যুইটার বাদে অন্যান্য সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংস্থাগুলি আইটি বিধি মেনে নিয়েছে। সেই নীতি অনুযায়ী সরকারের দাবি অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করেছে। সংস্থাগুলি তথ্য প্রযুক্তি নীতি, ২০২১ অনুসারে তাদের চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, নোডাল কন্টাক্ট পার্সন এবং গ্রিভান্স অফিসারের তথ্য ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রকের সাথে ভাগ করে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কু, শেয়ারচ্যাট, টেলিগ্রাম, লিঙ্কডইন, গুগল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় বড় সামাজিক যোগাযোগ সংস্থা।
নয়া আইটি নীতি নিয়ে সরকার এবং ট্যুইটারের মধ্যে বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। অথচ কোনও পদক্ষেপ জানানো হয়নি এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার তরফে। প্রতিটি সংস্থাই নতুন নিয়মের অধীনে কেন্দ্রের চাওয়া তথ্যাবলী সরবরাহ করেছে। একমাত্র টুইটারের সঙ্গে এ বিষয়ে এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের বনিবনা হয়নি।
