গ্রীষ্মে বা বর্ষায় ভারতবর্ষে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। আধুনিক এয়ার কন্ডিশনার তা থেকে স্বস্তি দিতে পারে বটে, তবে এসির দাম অনেকেরই নাগালের বাইরে। পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনার চালালে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়, তা বহন করা সকলের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। তাই অনেকেই কুলার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে সব থেকে বড় সমস্যা হল চটচটে আর্দ্রতা। আর্দ্র আবহাওয়ায় কুলার ব্যবহার করলে শুধু যে অস্বস্তি তৈরি হয়, তাই নয়। বরং অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: একবার বসালে ফুল চার্জ না দিয়ে ফোন তোলেন না? কাজটা ঠিক হচ্ছে তো?
তবে এত চিন্তা না করলেও চলবে। ঘরে থাকা কুলারে এমন কিছু কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে সহজেই মুক্তি মিলবে গরম থেকে, আবার আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিও থাকবে দূরে।
কুলারের পাম্প বন্ধ রাখা:
বর্ষাকালে যদি কুলারে জল প্রবাহ সচল থাকে তাহলে আর্দ্রতা বাড়বে, পাল্লা দিয়ে বাড়বে অস্বস্তিও। বর্ষাকালে এমনিতেই বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকে। কুলারের জল ব্যবহার করলে তা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই বর্ষায় জল ছাড়া কুলার ব্যবহার করাই ভাল।
কুলার প্যানেলটি সরিয়ে ফেলা:
সাধারণত, কুলারে পাম্প ব্যবহার করার সময় প্যানেল ইনস্টল করে রাখা হয়। বর্ষায় কুলারের পাম্প বন্ধ করে দিলে মনে হতে পারে ঠান্ডা বাতাস কম আসছে। সেক্ষেত্রে প্যানেলটি খুলে ফেললে ঠান্ডা বাতাস বেশি পাওয়া যাবে। ঘরের আর্দ্রতাও যাবে কমে।
কুলারের স্পিড:
কুলার স্পিড একটু বাড়িয়ে রাখাই ভাল। সেটা পরিবেশ অনুযায়ী বাড়িয়ে কমিয়ে নিতে হবে। ধরা যাক, মধ্যম গতিতে চললে হয়তো আর্দ্রতা বেড়ে যাচ্ছে। তখন তাকে হাই স্পিডে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। আর্দ্রতা হ্রাস পেতে পারে। স্পিড বাড়লে হাওয়ার গতি বাড়বে, তাতে আর্দ্রতা হ্রাস পাবে।