২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘের একটি সংস্থা UNCTAD প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০% চাকরি AI দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। এর মধ্যে কিছু চাকরি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এবং কিছু চাকরির ধরণ পুরোপুরি বদলে যাবে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মহিলাদের চাকরি পুরুষদের তুলনায় বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশিষ্ট কনসালটিং সংস্থা McKinsey & Company মনে করছে, আগামী পাঁচ বছরে অটোমেশনের প্রভাব আরও বাড়বে।
advertisement
AI দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে এমন ৮টি চাকরি:
ডেটা এন্ট্রি অপারেটর- এখন AI টুল ব্যবহার করে সহজেই বিশাল পরিমাণ ডেটা রিজার্ভ করা যায়।
কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ- চ্যাটবট ও ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর ও সমস্যা সমাধান এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব।
আরও পড়ুন- SMS-এর শেষে কেন লেখা থাকছে P, G, T অথবা S? জেনে নিন, নইলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি
টেলিকলার / BPO সেক্টর- AI-চালিত কল সিস্টেম স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে এবং গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।
ট্রাভেল এজেন্ট- AI অ্যাপের মাধ্যমে মানুষ নিজেরাই ফ্লাইট, হোটেল বুকিং ও ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারবে।
কন্টেন্ট রাইটার ও রিপোর্টার- ChatGPT-এর মতো টুল দিয়ে এখন কনটেন্ট তৈরি করা যায়। তবে মানবিক স্পর্শ এখনও জরুরি।
ব্যাংকিং ক্লার্ক- ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ও AI চ্যাটবটের মাধ্যমে এই চাকরিগুলির প্রয়োজন কমে যাচ্ছে।
অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও বুককিপার- AI সফটওয়্যার ফিনান্সিয়াল ডেটা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ করতে পারে।
গ্রাফিক ডিজাইনার (বেসিক বা টেমপ্লেট বেসড কাজ) -Canva বা DALL·E-এর মতো AI টুল কয়েক সেকেন্ডেই বেসিক ডিজাইন তৈরি করতে পারে।
IBM-এর মতো কোম্পানিগুলি এখন AI-এর সাহায্যে নিয়োগ (Recruitment) সংক্রান্ত কাজ করছে। সিভি বাছাই, প্রার্থীদের প্রোফাইল বিশ্লেষণ — এইসব কাজ এখন AI করছে। IBM-এর CEO অরবিন্দ কৃষ্ণা জানিয়েছেন, তাদের কোম্পানিতে শত শত HR কর্মচারীর কাজ এখন AI দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
ভয় পাওয়ার কিছু নেই-
যদিও এইসব শুনে ভয় লাগতে পারে, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে নতুন চাকরির সুযোগও তৈরি হয়। গোল্ডম্যান স্যাক্সের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ কাজ সম্পূর্ণভাবে AI দিয়ে করা সম্ভব নয়। একইভাবে, MIT-এর প্রফেসর ডেভিড অটোর বলেছেন, আজকের দিনের ৬০% চাকরি ১৯৪০ সালে ছিলই না। এর মানে হল— নতুন প্রযুক্তি নতুন সুযোগ নিয়ে আসে। AI হতে পারে উন্নয়নের পথে একটি ধাপ। নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে এবং নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চললে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে। তাই ভয়ের কিছু নেই— শিখতে থাকুন, এগিয়ে চলুন।