লখিন্দরের বাসরঘরে ছিদ্র দিয়ে সাপ ঢোকার সেই গল্প। তথ্য-প্রযুক্তির দুনিয়াতেই তেমনই একটা না একটা ছিদ্র থাকবেই। সেই ছিদ্র গলেই ঢুকে পড়ে পিগাসাসের মতো ভাইরাস।
ভারতের বেশ কিছু রাজনীতিক, মানবাধিকার কর্মীর হোয়াটস অ্যাপে নজরদারি করে তথ্য চুরির ঘটনায় তোলপাড়। হোয়াটসঅ্যাপের এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন যা এতদিনে দূর্ভেগ্য বলেই দাবি করা হত, সেখানে এই ঘটনা কীভাবে ঘটল?
advertisement
এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন কী
- দুপক্ষের মতো মেসেজের তথ্য নিজস্ব সার্ভারে জমা থাকে
- এই তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে পড়ার কথা নয়
এতদিন ধরে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনের সুরক্ষা নিয়ে তেমন অভিযোগ ওঠেনি। ইসরায়েলের এক অখ্যাত স্টার্ট আপের তৈরি ভাইরাসের ধাক্কায় সেই মিথ চুরমার। হোয়াটস অ্যাপও মেনে নিচ্ছে
গ্রাহকের অজান্তেই হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকতে পারে পিগাগাস
তথ্য কপি করে অন্য ডিভাইসে পাঠাতেও পারে
কীভাবে সেটা সম্ভব? সম্ভব, প্রয়োজন শুধু লেমন জেলি। তবে এই জেলি খাওয়ার জন্য নয়।
লেমন জেলি একটি শক্তিশালী ম্যালওয়ার
এই লেমন জেলিই পিগাসাসকে পরোক্ষে চালায়
মেসেজের পাশাপাশি ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, পিকচার ফোল্ডারও কপি করে
জিপিএস ও লাইভ ট্রাকিংয়েও নজরদারি করা সম্ভব
একই সময়ে একাধিক ডিভাইসে নজরদারিও চলে
অর্থাৎ কোনও গ্রাহক নিজের মোবাইল যদি বাড়ি বা অফিসের ওয়াই ফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করেন, তবে পুরোটাই পিগাসাসের নজরে চলে আসবে।
ব্যক্তিগত বার্তা, তথ্য নিরাপত্তার কোনও বালাই-ই নেই। ১৫ দিন বা একমাস অন্তর হোয়াটস অ্যাপ ডিলিট করে নতুন করে ডাউনলোড করা প্রয়োজন। ফেসবুক টুইটার বা ব্যাঙ্কিং অ্যাপেরও ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি নিতে হবে। থার্ড পার্টি ব্রাউজারেও তেমনভাবে সক্রিয় হতে পারে না পিগাসাস ৷
কিন্তু এত ঝক্কি পোহানো আম-জনতার পক্ষে সম্ভব কী? সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরে বসেই সবকিছু করতে চাইলে এটুকু করতেই হবে।