আর গরম বাড়লেই বাড়বে ঘরে ঘরে এসি ব্যবহার। এসি ব্যবহারের কারণে বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসতে শুরু করবে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কিছু টিপস জানা জরুরি। জেনে নেওয়া যাক সেই অভ্যাসগুলি, যা বেশ কিছুটা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাহায্য করবে।
সঠিক তাপমাত্রা নির্বাচন:
এসি কখনই সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় রাখা ঠিক নয়। বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন, গরম বাড়লে এসি ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে হবে, তাতে ঘর সর্বাধিক শীতল হবে। কিন্তু ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি (বিইই) অনুসারে, মানবদেহের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে শরীর যেমন ভাল থাকে, তেমনই এসি কম লোড করতে হয়। তাই বিদ্যুৎও সাশ্রয় হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- চন্দ্রযান ৩-র পথে আরও এক বড় ধাপ! ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন পরীক্ষায় বড় সাফল্য
পাওয়ার বোতাম বন্ধ রাখা:
কাজ না করলে পাওয়ার বোতাম বন্ধ রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এটি কেবল এয়ার কন্ডিশনার জন্য নয়, বরং যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্রই যখন ব্যবহার করা হচ্ছে না, তখন তার মূল স্যুইচ বন্ধ করে দিতে হয়। সম্ভব হলে প্লাগ খুলে রাখা যেতে পারে। বেশিরভাগ মানুষই রিমোট থেকে এসি বন্ধ করে দেন। তবে, এটি করা উচিত নয় কারণ কম্প্রেসারটি নিষ্ক্রিয় থাকলেও প্রচুর শক্তি অপচয় হয়।
টাইমার ব্যবহার:়
সমস্ত এসি-তেই একটি টাইমার থাকে। এই টাইমার খুবই উপকারি। এর সাহায্যে সারারাত এসি চালানোর পরিবর্তে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালানো যেতে পারে। টাইমার সেট করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যেতে পারেন।
সার্ভিসিং অত্যাবশ্যক:
সমস্ত বৈদ্যুতীন যন্ত্রপাতির সার্ভিসিং প্রয়োজন। এসি-র ক্ষেত্রেও তা একান্ত সত্য। ভারতের মতো দেশে, বিশেষত গৃহস্থ বাড়িতে, সারা বছর এসি ব্যবহার করা হয় না। তার ফলে শীতকালে এতে ধুলো জমে থাকে। এতে মেশিনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে বেশি বিদ্যুৎ খরচের আশঙ্কা থাকে।
সব জানালা-দরজা বন্ধ:
যখনই এসি চালু করা হবে তখন খেয়াল রাখতে হবে ঘরের সব জানালা-দরজা যেন বন্ধ থাকে। কারণ, এমন করলেই দ্রুত শীতলতা পাওয়া যাবে। বিদ্যুৎও সাশ্রয় হবে।
