এর এক দিন আগেই অবশ্য খবরটা এসে গিয়েছিল যে, গোটা বিষয়টার নিষ্পত্তি করে ফেলেছেন যুজবেন্দ্র এবং ধনশ্রী। ধনশ্রীকে খোরপোষ বাবদ যুজবেন্দ্র দেবেন ৫ কোটি টাকা। এদিকে বৃহস্পতিবার ধনশ্রী যখন আদালতে পৌঁছলেন, তখন তাঁকে ঘিরে ট্রোলিং শুরু করেন ট্রোলাররা। সেই ভিডিওই আপাতত ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বহু ব্যবহারকারীই আবার তাঁকে খুব খারাপ ভাবে উত্যক্ত করতে শুরু করেছেন।
advertisement
আদালতে আসার সময় ধনশ্রীর সঙ্গে অবশ্য দেখা মিলল তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এদিন ধনশ্রীর পরনে ছিল একটি সাদা টি-শার্ট এবং একটি নীল রঙা জিন্স। তবে চোখে কালো চশমা আর মুখে কালো মাস্ক এঁটে নিজেকে খানিক আড়াল করেই কোর্টে এসেছিলেন তিনি। তাঁর মুখ ছিল পুরোপুরি ঢাকা। তবে ধনশ্রীর উপর নজর পড়তেই তাঁর ছবি-ভিডিও নিতে ভিড় করে আসেন পাপারাৎজিরা।
যদিও এই ভিডিও দেখার পর বহু নেটিজেনই ধনশ্রী ভার্মাকেই ট্রোল করেছেন। একজন তো লিখেছেন যে, “উনি ৫ কোটি টাকার জন্য এসেছেন।” অন্য একজন লিখেছেন যে, “টাকা নিলাম আর মুক্তি পেয়ে গেলাম।” এতেও অবশ্য থেমে থাকেননি নেটিজেনরা। এমনকী, একজন তো লিখেই দিয়েছেন যে, “ইউজি ভাইকে লুটে নিল।”
চাহাল আর ধনশ্রীর বিবাহবিচ্ছেদ:
২০ মার্চ অবশেষে যুজবেন্দ্র চাহাল আর ধনশ্রী ভার্মার বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করে দিল আদালত। এই সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের আইনজীবীদের বিবৃতিও সামনে এসেছে। তাঁরা বলেছেন যে, দু’পক্ষই পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ পেয়েছেন।
বিবাহবিচ্ছেদের খোরপোশ:
বার অ্যান্ড বেঞ্চ ওয়েবসাইট অনুযায়ী, চাহাল আর ধনশ্রীর দাম্পত্য জীবন ৪ বছরের। কিন্তু বিগত আড়াই বছর ধরে তাঁরা আলাদা থাকছিলেন। এখন দু’জনের মধ্যে ৪.৭৫ কোটি টাকার নিষ্পত্তি নিয়ে কথা হয়েছে। এমনকী এ-ও জানা গিয়েছে যে, তাঁদের দু’জনের মধ্যে ৬ মাসের কুলিং অফ পিরিয়ডও মকুব করে দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট।