মঙ্গলবারের ম্যাচের আগেই আরিসিবির প্লে অফে জায়গা প্রায় পাকা ছিল। কিন্তু যদি বড় ব্যবধানে হারত তাহলে কিছুটা হলেও আশা থাকত ইউপির। আর জিততে পারলে ছিল প্লে অফে সরাসরি এন্ট্রি। হলও তাই। ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন স্মৃতি মন্ধনা। ওপেনিং জুটিতে সাজিবন সজানার ৩০ ও হেইলি ম্যাথিউজের ২৬ রানের ইনিংস ছাড়া কোনও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটার ২০-র গণ্ডি টপকাতে পারেনি। এলিস পেরির স্বপ্নের স্পেলের সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে যায় মুম্বইয়ের ব্যাটিং লাইন। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন পেরি। যা ডব্লুউপিএলের ইতিহাসে সেরা। ১৯ ওভারে ১১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বই।
advertisement
১১৪ রানের ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি আরসিবি। ৩৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ব্যাঙ্গালোর। সাজঘরে ফেরত যান স্মৃতি মন্ধনা, সোফি মোলিনেক্স ও সোফি ডিভাইন। এরপর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন এলিস পেরি ও রিচা ঘোষ। ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করেন দুজনে। খেলেন বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট। শেষ পর্যন্ত ১৫ ওভরারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় আরসিবি। ৪০ রানে এলিস পেরি ও ৩৬ রানে রিচা ঘোষ অপরাজিত থাকেন। ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফর্মকরে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হনপেরি।
আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: বলুন তো, এক সফরে ১৩টি রাজ্যে যায় কোন ট্রেন? উত্তর জানলে আপনি জিনিয়াস
প্রসঙ্গত, ৭ ম্যাচে ৫ জয় ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে প্লে অফে পৌছেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। গুজরাতের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। ৮ ম্যাচে ৫ জয় রান রেটের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে অফে পৌছেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৮ ম্যাচে ৪ জয় ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হিসেবে প্লে অফে উঠল আরসিবি।