এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো করেছিল গুজরাট জায়ান্টসের দুই ওপেনার সাব্বিনেনি মেঘনা ও সোফিয়া ডাঙ্কলে। প্রথম উইকেটে ৩৪ রান করেন দুই ওপেনার। কিন্তু তারপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় গুজরাট। মেঘনা করেন ২৪ রান। ৭২ রানের মধ্য ৪ উইকেট পড়ে যায় গুজরাটের। সেখান থেকে ইনিংসের রাশ ধরেন হারলিন দেওল ও অ্যাশলে গার্ডনার। ৪৪ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। ১২০ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে। ২৫ রান করে আউট হন গার্ডনার।
advertisement
একদিক থেকে উইকেট পড়লেও নিজের ইনিংস চালিয়ে যান হারলিন দেওয়ল। দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান তিনি। ৪৬ রান করে আউট হন তিনি। ১৪২ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। শেষের দিকে ১৩ বলে ২১ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস খেেলন দয়ালান হেমলতা। যার সৌজন্য ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের লড়াই করার মতন স্কোর করে গুজরাট জায়ান্টস। ইউপি ওয়ারিয়র্সের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন দীপ্তি শর্মা ও সোফি এক্লিস্টোন। ম্যাচ জিততে ইউপি ওয়ারিয়র্সের টার্গেট ১৭০।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়মি ইউপি ওয়ারিয়র্স। ২০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় উত্তর প্রদেশের দল। সাজঘরে ফেরত চলে যান দলের ৩ প্রধান ব্যাটার অ্যাশলে হেলি, শ্বেতা শেরাওয়াত ও তাহিলা ম্যাকগ্রা। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন কিরণ নভগির ও দীপ্তি শর্মা। বেশ কিছু ভালো শট খেলেন কিরণ। দীপ্তিকে সঙ্গে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। নিজের ৫০ রানও পূরণ করেন কিরণ নভগির। ৮৬ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ১১ রান করে আউট হন দীপ্তি। জুটি ভাঙতেই সাজঘরে ফেরেন কিরণ নভগির। দলের ৮৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৩ রানে আউট হন কিরণ। এরপর শূন্য রানে আউট হন সিমরান শেইখ ও ৪ রানে আউট হন দেবিকা বৈদ্য।
আরও পড়ুনঃ মেসিকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এমবাপে, কী বললেন ফরাসী তারকা, হতবাক বিশ্ব
১০৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল ইউপি। বাকি ছিল ২৬ বলে ৬৫ রান। সেখান থেকেই অবিশ্বাস্যভাবে কামব্যাক করে ইউপি। সৌজন্যে গ্রেস হ্যারিস ও সোফি এক্লিস্টোনের বিধ্বংসী ও অবিশ্বাস্য ইনিংস। একসময় ৩ ওভারে ম্যাচ জেতার জন্য ৫৩ রান দরকার ছিলষ একপ্রকার সকলে ধরেই নিয়েছিল ম্যাচ জিততে চলেছে গুজরাট। কিন্তু টি-২০ ক্রিকেটে সবকিছু সম্ভব তা আবারও প্রমাণিত হল। একের পর এক বিগ হিট করেন গ্রেস। তাকে সঙ্গ দেন এক্লিস্টোন। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ইউপি। ৭০ রানের ম্যাচ উইনিং পার্টনারশিপ করেন গ্রেস ও এক্লিস্টোন। ২৬ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন গ্রেস। ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। ১২ বলে ২২ করেন এক্লিস্টোন।