এদিনও টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। ব্যাটিং রানের খরা এদিনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধনা। ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্রথম ৩টি উইকেট নিয়মিত ব্যবধানে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আরসিবি। ৬৩ রানের মধ্যে স্মৃতি মন্ধনা (৮), সোফি ডিভাইন (২১) ও হেদার নাইট (১১) আউট হয়ে যান। এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান এলিস পেরি ও রিচা ঘোষ। একদিক থেকে মারকাটারি ইনিংস খেলেন রিচা ঘোষ ও ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করেন এলিস পেরি। ১৬ বলে ৩৭ করে রিচা। নিজের অর্ধশতরান করেন পেরি। ৭৪ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে আরসিবি। ৫২ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন এলিস পেরি ও ৪ রানে ক্রিজে ছিলেন শ্রেয়ঙ্কা পাটিল।
advertisement
১৫১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই শেফালি ভার্মার উইকেট হারায় দিল্লি ক্যাপিটালস। খাতাও খুলতে পারেননি শেফালি। এরপর মেগ ল্যানিং অ্যালাইস ক্যাপসে একটা ছোট পার্টনারশিপ করেন। ঝোড়ো ব্যাটিংকরেন ক্যাপসে। ৪৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। এরপর জেমাইমা রড্রিগেজ মেগ ল্যানিংকে সঙ্গ দেন। তবে দলের ৭০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হন দিল্লি অধিনায়ক। ৩ উইকেট পড়ার পর ঠান্ডা মাথায় দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান জেমাইমা রড্রিগেজ ও মারিজেন কাপ। ৩৯ রান জুটিতে যোগ করেন তারা। দলের ১০৯ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ে আরসিবির। ব্যক্তিগত ৩২ রান করে আউট হন জেমাইমা রড্রিগেজ।
আরও পড়ুনঃ ক্রাইস্টচার্চ থেকে সুখবর এল আহমেদাবাদে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত
সেই সময় মনে করা হয়েছিল আরসিবি ম্যাচে কামব্যাক করবে। ম্যাচও যথেষ্ঠ হাড্ডাহাড্ডি জায়গায় ছিল। কিন্তু সেই সময় মারিজেন কাপের জুটি বাধেন জেস জনাসেন। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলে আরসিবিকে ম্যচে রাখেন। অপরদিকে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করেন কাপ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে একসময় ৩ বলে ৭ রান বাকি ছিল দিল্লির। সেই সময় ছয় মেরে ম্যাচে দিল্লির পক্ষে এনে দেন জেস জনাসেন। ২ বল বাকি থাকতে জয় পায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ৩২ বলে ৩২ রান করে কাপ ও ১৫ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন জেস জনাসেন। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখল দিল্লি। এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মুম্বই।