এছাড়া সহকারী রেফারি হিসেবে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথরিন নেসবিট, মেক্সিকোর কারেন দিয়াজ মেদিনা এবং ব্রাজিলের নিওজা ব্যাক। টাকার অঙ্কের দিক দিয়ে এবারের আসর সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই; সেই সাথে এবারের রেফারি প্যানেলেও থাকবে ফুটবল বিশ্বের আলাদা নজর। কারণ, ইতিহাসে প্রথম কোনো বৈশ্বিক আসরে পুরুষ ফুটবলের রেফারি হতে দেখা যাবে নারীদের।
advertisement
দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে সাংবাদিক ক্রিস্টি ডাউয়েল এই উদ্যোগকে নারী রেফারিংয়ের জন্য এক ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন। উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট শব্দটার যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যাবে এবারের বিশ্বকাপে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেরা ছয় নারী রেফারিকে ডাকা হয়েছে কাতার বিশ্বকাপে।
ফিফা বিশ্বকাপের সহযোগী রেফারি ক্যাথরিন নেসবিট বলেন, আমরা এখানে একই দায়িত্বে সবাই ডাক পেয়েছি। এই অবস্থানের জন্য আমরা সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমরা এখানে সবাই একটি দল। নারী রেফারিদের সহকর্মী হিসাবে পেয়ে উৎসাহিত আসরের বাকি রেফারিরাও। আয়োজকদের এমন সিদ্ধান্তকে তাই সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারাও।
রেফারি ক্রিস বেথ বলেন, বিশ্বকাপ আয়োজকরা যথেষ্ট পেশাদার। আসরের জন্য যা ভালো সেই সিদ্ধান্তটাই তারা নিয়েছে। আমার মনে হয় এখানে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই।ফিফা রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান পিয়েরলুইজি কলিনা বলেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই আমাদের জন্য মান গুরুত্বপূর্ণ, লিঙ্গ নয়।
এই ৬ জন নারী রেফারিকে অবশ্যই পুরুষ রেফারির মতো একই ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছে। পুরুষ সহকর্মীদের মতো তাদের পারফরম্যান্সও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ২৯ দিন ধরে চলা বিশ্বকাপের ৬৪টি ম্যাচ পরিচালনায় অংশ নেবেন এই ৬ নারী রেফারি।