টেস্ট ক্রিকেটের বৈশিষ্ট্য হল সাদা পোশাক। নারী কিংবা পুরুষ ক্রিকেটার, এমন পোশাক পরেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এই সাদা পোশাকের কারণে নারী ক্রিকেটারদের কতটা চাপে থাকতে হয় তা কল্পনা করাও কঠিন। ইংল্যান্ডের ট্যামি বিউমন্ট দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমি ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিলাম। তাই আম্পায়ারকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, 'ড্রিঙ্কস ব্রেকের নিয়মটা কী?
advertisement
আরও পড়ুন- আইপিএল ২০২১: রিয়ান পরাগের বুলেট থ্রো, মাত হয়ে গেলেন বিরাট কোহলিও, দেখুন ভিডিও
বিউমন্ট আরও বলেছেন, "সেখানে একজন মহিলা আম্পায়ার ছিলেন। তাই আমি তাকে বলেছিলাম প্রথম দিন সমস্যার কথা। তার পর সে বলল, এটা কোন সমস্যা নয়, আমরা এটা মোকাবেলা করতে পারি। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে একজন ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে সেই কারণে বাইরে যেতে হয়েছিল। আমার মনে হয় পিরিয়ড নিয়ে মহিলা ক্রিকেটাররা উদ্বেগে থাকে। আমাদের অনেকের কাছে সাদা পোশাকা পরা কঠিন কাজ। বিশেষ করে কোনও নির্দিষ্ট সময়। এই পোশাকের কারণে অনেকে উদ্বেগ থাকে। "
পাঁচ দিনের টেস্ট চলাকালীন ইংল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক ক্রিকেটার ঋতুমতী। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার নাটালি শিভারের এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা ছিল। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেকের সময় তিনি ঋতুমতী ছিলেন। আন্ডারশর্টস পরে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি জানান, এই সময় সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর প্রয়োজন। শিভার বলেছিলেন, আমাদের ডাক্তার আসলে রক্তপাত কমাতে আমাদের কিছু ওষুধ দেন।
অনেক সময় ঋতুমতী থাকায় মহিলা ক্রিকেটারার মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেন না। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা সেটা মনে করেন। বিউমন্ট বলছিলেন, অনেক সময় শরীর দুর্বল হয়। নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়া যায় না। খেলার মাঠে কেউ পিরিয়ডস নিয়ে কথা বলে না। তবে এটা নিয়েই আমাদের লড়তে হয়।