মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ওপেনার হিসেবে খেলতে নামেন তিনি, ঠিক যেমনটা একসময় করতেন তার বাবা। আত্মবিশ্বাসী শুরু না হলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরে আসেন এই তরুণ ব্যাটার। ইয়াশ ঢুলের অনুপস্থিতিতে দলে জায়গা পাওয়া আর্যবীর শুরুতে কিছুটা সতর্ক থাকলেও, পরে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। নবদীপ সাইনির এক ওভারে পরপর দুটি বাউন্ডারি মারেন, যার মধ্যে একটি ছিল ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে, অপরটি এক্সট্রা কভার ও লং-অফের মাঝ দিয়ে। এরপর রৌনক ওয়াঘেলার ওভারেও দুটি বাউন্ডারি মারেন। যদিও ইনিংস বেশিদূর যেতে পারেনি, তবু ১৬ বলে ২২ রানের ইনিংসে প্রতিভার ছাপ রেখে যান।
advertisement
আর্যবীরের ছোট ভাই বেদান্ত সেহওয়াগ এই টুর্নামেন্টে ওয়েস্ট দিল্লি লায়ন্সের হয়ে খেলছেন, ফলে দুই ভাইয়ের মধ্যে ভবিষ্যতে একটি আকর্ষণীয় দ্বৈরথ দেখা যেতে পারে। পেশাদার ক্রিকেটে আসার পর আর্যবীর তার বাবার কীর্তি ও অবদানের গুরুত্ব বুঝতে পারছেন বলে জানিয়েছেন। তার মতে, আগে বাবা যা বলতেন তা গুরুত্ব না পেলেও এখন বুঝতে পারছেন, তিনি কতটা অসাধারণ ক্রিকেটার ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ Ashwin Net Worth: মোট কত টাকার মালিক রবিচন্দ্রন অশ্বিন? রয়েছে কটি গাড়ি-বাড়ি? জানলে চমকে যাবেন
প্রসঙ্গত, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক করেন এবং ২৪৫টি ওয়ানডেতে ৮২৭৩ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ১৫টি শতক। এখন তার দুই ছেলে ক্রিকেটে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চায়, আর আর্যবীরের এই শুরু নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। ভবিষ্যতে তিনি ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনে তার বাবার মতো উজ্জ্বল নাম হয়ে উঠবেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।