সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। ভারতীয় টেস্ট দলের (Indian Cricket Team) নেতৃত্ব থেকে বিরাটের (Virat Kohli) সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের একাংশ মনে করছেন এটাই সঠিক। না হলে ওডিআই ফরম্যাটের মত বিরাটকে হয়তো বোর্ড কর্তারা টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতেন খুব তাড়াতাড়িই। আসলে নিজের ভবিষ্যত পড়তে পেরেই নাকি "সঠিক" সিদ্ধান্ত বিরাটের (Virat Kohli)। টেস্ট ক্যাপ্টেন কোহলি এটাই ভবিতব্য ছিল, আসলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ বক্তব্য ছাড়াও বোর্ড সূত্র থেকে উঠে আসছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। বর্তমানে বিতর্কের শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) টেস্ট দলের নেতৃত্ব ধরে রাখতে গেলে নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিততে হত এবং নিজেকেও ব্যাটে বড় রান করতে হত।
advertisement
আরও পড়ুন - MS Dhoni-র এক্স গার্লফ্রেন্ড Raai Laxmi- খোলামেলা ছবিতে রূপের তুফান, দেখুন ভাইরাল ফটো
এই দুটোর কোনটাই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে করতে পারেননি কোহলি। শেষ টেস্ট ম্যাচে কেপটাউনে প্রথম ইনিংসে ৭৯ করা ছাড়া বাকি ৩ ইনিংসে সেভাবে দাগ কাটতে পারেন নি কোহলি। পিঠের চোটের জন্য জোহানেসবার্গে খেলতে পারেননি। দু বছরের বেশি সময় বিরাটের সেঞ্চুরি নেই। নিজের অধিনায়কত্ব ধরে রাখতে গেলে কোহলিকে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে বড় রান করতেই হতো। আর সিরিজ জিততে না পারলেও অন্তত কম শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিরুদ্ধে সিরিজ ড্র করে ফিরতে হতো। আর এইগুলো কোনটাই না হওয়ায় বিরাট নিজেই নাকি নিজের ভবিষ্যৎ বুঝতে পেরে টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত (Virat Kohli Resigns) নিয়েছেন সিরিজ হারার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই।
বিরাট কোহলির (Virat Kohli) টেস্ট ক্রিকেটে পারফরম্যান্স চোখে পরার মতোই দুর্দান্ত৷ অধিনায়ক হিসেবেও তাঁর পরিসংখ্যান দারুণ৷ বিরাট কোহলি অধিনায়ক হন ২০১৪ সালে৷ যে সময় বিরাট কোহলি ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হয়েছিলেন যখন তখন শেষ চারবছর ধরে ভারত ছিল ৭ নম্বরে৷ কিন্তু সেই বছর ভারত টেস্টের এক নম্বর দেশ হিসেবে বছর শেষ করে৷ বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে ভারত ৬৮ টি ম্যাচ খেলেছে৷ তারমধ্যে ৪০ টি ম্যাচ জিতেছে এবং ১৭ টি মাত্র ম্যাচ তারা হেরেছে৷