আরও পড়ুন - Qatar World Cup 2022: ফাইনালের টিকিট নিয়ে পাগলের মতো চাহিদা, চাই ৩০ লক্ষ টিকিট
দিল্লির বিরুদ্ধে সানরাইজার্স হেরে গেলেও উমরান স্পর্শ করেন ১৫৭ কিলোমিটার। পাওয়েল সেই বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান। কোচ জানালেন, উমরানের বাড়ি তাওয়াই নদীর তীরে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সেই নদীর বালির উপর দিয়ে দৌড়তেন উমরান। কোমরে বাঁধা থাকত সাইকেলের দু’টি টিউব। তাতেও ভরা থাকত বালি। সেই টিউব কোমরে বেঁধে দৌড়েই শক্তি বাড়িয়েছেন উমরান। যার ফল পাওয়া যাচ্ছে এখন বল হাতে।
advertisement
কোচ রণধীর বলছিলেন, প্রথম দিন ওকে নেটে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এত জোরে বল করতে শুরু করেছিল, বাধ্য হয়ে থামিয়ে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম প্রত্যেক দিন অনুশীলনে আসতে। কিন্তু এক দিন আসত, আবার সাত দিন আসত না। জানতে পারলাম, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলে অর্থ উপার্জন করে। যোগ করেন, ওর গতির রহস্য জানার চেষ্টা করি।
ওর কাছেই জানতে চাই, কী করে এতটা গতিতে বল করছে? উমরানই আমাকে জানায়, বালির উপরে কোমরে টিউব পরে দৌড়নোর কথা। জম্মুর গুজ্জরনগর অঞ্চলে উমরানের বাবা আব্দুল রশিদ মালিকের ফলের দোকান। আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট পাওয়ার পরে তাঁর দোকানে সবচেয়ে বেশি ভিড় হতে শুরু করে। পর্যটকেরা এসে প্রশ্ন করেন, আপনার ছেলে উমরান মালিক?
গর্বিত বাবা বলছিলেন, ছেলে আমাকে আর ফল বিক্রি করতে দেবে না বলেছে। ছোটবেলা থেকে অনেক পরিশ্রম করেছে। ও আর চায় না, বাবা ফল বিক্রি করুক। আবেগপূর্ণ গলায় বলতে থাকেন, আমি যদিও বলে দিয়েছি, তুই ভাল ক্রিকেট খেলে আমার এই দোকানের সংস্কার করে দিস। এটাই আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি হবে। উমরান মালিক অবশ্য থামতে নারাজ। এগিয়ে যেতে চান নিজের গতিতে।