বায়ো বাবল বা জৈব সুরক্ষার বলয় তৈরি করছে ইংল্যান্ডের একটি সংস্থা। রেস্ত্রাটা নামক এই সংস্থা ইংল্যান্ডে আয়োজিত হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তান সিরিজেও জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছে। এই সংস্থার তরফ থেকেই বোর্ডের কাছে চিপ ট্র্যাকারের বিষয়টি জানানো হয়। মূলত জৈব সুরক্ষা বলয়ের ক্রিকেটাররা এবং দলের সাপোর্ট স্টাফরা মানছেন কিনা তা বোঝার জন্যই এই ট্র্যাকার ব্যবহার করা হবে।
advertisement
কী ভাবে কাজ করবে এই ট্র্যাকার? বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রিকেটার এবং দলের সদস্যদের প্রত্যেকের কাছে একটি টিপ দেওয়া হবে। ঘড়ি বা মোবাইল সাহায্যে চিপ ট্র্যাকারটিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লিংক করানো হতে পারে। এমনকি ক্রিকেটারদের গলার চেন কিংবা সঙ্গে থাকা আই কার্ডের সঙ্গে লাগানো থাকতে পারে এই চিপ।
অর্থাৎ শরীরের সঙ্গে সব সময় রাখতে হবে এই চিপ ট্র্যাকারটিকে। জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে কোনও ভাবে বেরোলেই ট্র্যাকারের মাধ্যমে খবর পৌঁছে যাবে সংশ্লিষ্ট মনিটরিং বিভাগে। তবে এটি ব্যবহার হবে ম্যাচের বাইরের সময়ে। এই চিপটা ট্র্যাকার ব্যবহার করেই ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চারের জৈব সুরক্ষার নিয়ম ভাঙার খবর জানা যায়। নিয়ম লঙ্ঘন করায় ম্যানচেস্টারে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেননি ইংল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার। পুনরায় কোয়ারেন্টাইন পর্ব এবং করোনা পরীক্ষা ফল নেগেটিভ হওয়ার পর স্কোয়াডে ফিরতে পারেন তিনি।
আইপিএলের ক্ষেত্রেও ক্রিকেটাররা এরকম নিয়ম লঙ্ঘন করলে একই শাস্তি মূলক ব্যবস্থা হতে পারে। অন্য দিকে, ক্রিকেটারদের একাধিক নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলা হচ্ছে। অতীতের মত কোনও ক্রিকেটার একসঙ্গে আড্ডা দিতে পারবেন না। একসঙ্গে ডিনার করা যাবে না বর্তমান পরিস্থিতিতে। একান্ত ক্রিকেটারদের মধ্যে কথা বলার দরকার থাকলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলা যেতে পারে।
হোটেলের সমস্ত কর্মীরাও এই জৈব সুরক্ষার বলয়ের মধ্যে থাকছেন। এদিকে টুর্নামেন্ট চলাকালে ৫ দিন অন্তর ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সব ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বোর্ডের প্রতিনিধিদল পৌঁছে গেছে।