এখনও পর্যন্ত ২৪ জন খেলোয়াড় জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন –
মহম্মদ নাসির কামাল বলেন, আমি মোরাদাবাদ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক। ২০১৩ সাল থেকে আমরা এখানে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব পেয়েছি। জাতীয় প্রতিযোগিতায় ২৪ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে পুরুষ ও মহিলা উভয়ই রয়েছে। এছাড়া আমি নিয়মিত শিশুদের ফুটবলের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এই ২৪ জন খেলোয়াড় ছাড়াও আমি কয়েক ডজন শিশুকে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করেছি।
advertisement
আরও পড়ুন- টোটো নিয়ে হাজার অভিযোগ! এই ‘টোটো দিদি’-র কথা শুনলে গর্ব হবে
চাকরি শুরু হয় ১৯৯৩ সালে –
তিনি বলেন, আমি ১৯৯২ সালে সন্তোষ ট্রফি খেলেছি এবং ১৯৯৩ সালে স্পোর্টস কোটার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছি। এর আগে পরিস্থিতি খুবই কঠিন ছিল। আমরা ঘরের বাইরে না গিয়েই লুকিয়ে লুকিয়ে খেলতাম। অনেক সময় আমাদের মারধরও করা হত। পরিবারের সদস্যরা বলতেন আগে পড়াশোনায় মন দিতে হবে, কিন্তু খেলাধুলায় বেশি মনোযোগ দিতাম। এই কারণে বাড়িতে তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়েছে। ধীরে ধীরে আমরা খেলাধুলার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং খেলাধুলার মাধ্যমেই আমরা সাফল্যের পথ বেছে নিলাম। তারপর আমি রেলওয়েতে চিফ টিকিট ইন্সপেক্টর পদের জন্য নির্বাচিত হলাম।
স্টেডিয়ামে অনেক সমস্যা আছে –
তিনি বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন মোরাদাবাদে ক্রীড়া মাফিয়াদের আধিপত্য ছিল। আমরা ধীরে ধীরে এটি নির্মূল করার চেষ্টা করেছি, তবে কিছু লোক এখনও এটি দখল করে রেখেছে। শিশুরা স্টেডিয়ামে অবাধে অনুশীলন করতে না পারায় বিশেষ করে মেয়েদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ভাল হচ্ছে এবং আমাদের চেষ্টা হচ্ছে বেশি বেশি করে শিশু যেন খেলাধুলায় আসে এবং সাফল্যের দিকে এগিয়ে যায়।