আইপিএলের মঞ্চকে অনেকেই তাই পারফর্ম করার সুযোগ হিসেবে দেখছেন, যাতে নির্বাচকদের নজরে পড়া যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকা যৌথভাবে আয়োজন করবে ২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপ। তার জন্য দল নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে পয়লা মে।
২৬ মে আইপিএল ২০২৪-এর ফাইনাল। তার পরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে মনোনিবেশ করবেন ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ১ জুন।
advertisement
আরও পড়ুন- KKR: নীতিশ রানার পর আরও এক কেকেআর তারকা ব্যাটারের চোট! আরসিবি ম্যাচে খেলবেন তো?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল ২০০৭ সালে। সেবার ফাইনালে এমএস ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল পাকিস্তানকে ৫ রানে হারায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ভারত।
তার পর থেকে এই টুর্নামেন্টটি আটবার আয়োজন করা হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ড দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়াও একবার করে বিজয়ী হয়েছে।
ভারতের রোহিত শর্মা এবং বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান এখনও পর্যন্ত আটটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলেছেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে খেলা তিনজন ভারতীয় ক্রিকেটার এখনও খেলছেন।
তাঁদের মধ্যে ২ জন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে জায়গা পাওয়ার দাবিদার। তাঁরা হলেন, রোহিত শর্মা, দীনেশ কার্তিক এবং পীযূষ চাওলা। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাঁরা।
রোহিত এবং পীযূষ চাওলা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে খেলছেন। দীনেশ কার্তিক আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সি গায়ে খেলছেন।
আরও পড়ুন- MS Dhoni: এই আইপিএলের পরই অবসর নেবেন ধোনি? বড় আপডেট দিলেন মাহির প্রিয়জন
রোহিতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়া প্রায় নিশ্চিত। অন্যদিকে, কার্তিকও আইপিএলে দুরন্ত পারফর্ম করে ভারতীয় দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে খেলার দাবি রেখেছেন।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত চার ম্যাচের তিনটি ইনিংসে তিনবারই অপরাজিত ছিলেন। দীনেশ কার্তিক চার ম্যাচের তিনটি ইনিংসে ২৮ রান করেন। কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি পীযূষ চাওলা।
টি-টোয়েন্টিতে রানের নিরিখে বিরাটের পরে রোহিত শর্মা এখন দ্বিতীয়। তিনি এখনও পর্যন্ত ১৫১ ম্যাচে ৩৯৭৪ রান করেছেন। তার মধ্যে পাঁচটি সেঞ্চুরি রয়েছে।
অন্যদিকে, ডিকে অর্থাৎ দিনেশ কার্তিক ৬০ টি-টোয়েন্টিতে ৬৮৬ রান করেছেন।