২০১৭ সালে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন ৬টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। তাঁর করা সেই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হল। ৭ বছর পর্যন্ত জেলে কাটাতে হতে পারত প্রাক্তন এই টেনিস তারকাকে। তবে বিচারক তাঁর শাস্তির মেয়াদ আড়াই বছর পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। কিংবদন্তি টেনিস তারকা বেকার দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হল তাঁকে।
advertisement
এই দেউলিয়াত্ব ঘোষণার সময়ে তিনবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন আসলে বিরাট সম্পত্তির কথা গোপন করে যান। বলা ভালো সজ্ঞানে মিথ্যা বলেন। জার্মান তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল প্রাক্তন স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে সাড়ে তিন লক্ষ পাউন্ড ট্রান্সফার করে দেন ইচ্ছা করে। সেকথা তিনি তার দেউলিয়াত্বের হলফনামাতে গোপন করে যান।
পাশাপাশি একাধিক সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন বরিস বেকার। উইম্বলডন ট্রফি, জার্মানিতে একাধিক স্থাবর সম্পত্তি এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর নামে। প্রসঙ্গত স্পেনের শহর মালোরকায় একটি সম্পত্তি কিনতে তিন লক্ষ পাউন্ড ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়েছিলেন তিনি। সেই ঋণের কিস্তি তিনি পরিশোধ করেননি। উল্টে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন বেকার।
আদালতের সামনে তিনি জানান, তাঁর দুটি উইম্বলডন খেতাব নাকি হারিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে দেখা যায় বিভিন্ন অনলাইন সংস্থা থেকে বহু টাকা খরচ করে জিনিস কিনেছেন তিনি। তদন্তে ঝুলি থেকে বেরিয়ে পরে বেড়াল। দুই প্রাক্তন স্ত্রী বারবারা ও লিলি-সহ মোট নয় জনের অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণ টাকা তিনি পাঠিয়েছেন নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার পথ পরিষ্কার করতে।
প্রসঙ্গত স্থাবর, অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি মিলিয়ে বেকারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২.৩ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। তবে বেকার কত তাড়াতাড়ি জামিন পান সেটা নির্ভর করছে তার আইনজীবীদের ওপর।
