ভারতের দেওয়া ৩৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৫০ রানে ১ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন বেন ডাকেট ও অলি পোপ। চতুর্থ দিনে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং শুরু করেন দুজন। রবিবার ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ধাক্কা দিতে বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয় ভারতকে। হাফ সেঞ্চুরি করার পর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন ডাকেট। তীয় উইকেট পড়ে অলি পোপের। মহম্মদ সিরাজের ইন সুইংয়ে পুরোপুরি পরাস্ত হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ২৭ রান করে এলবিডব্লুউ আউট হন অলি পোপ। ১০৬ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে।
advertisement
এই সময় মনে হয়েছিল ভারতীয় দল হয়তো ম্যাচটা বার করে নেবে। হ্যারি ব্রুক ও জো রুট এগিয়ে নিয়ে যায় স্কোরবোর্ড। মারকাটারি ব্যাটিং শুরু করেন ব্রুক। ব্রুকের একটি শট বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরলেও সিরাজের পা লেগে যায় দড়িতে। জীবনদান পান তারকা ব্যাটার। সেখানেই ঘুড়ে যায় খেলার মোড়। রুট ও ব্রুক মিলে ভারতের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দেন। ব্রুক মারকাটারি ইনিংস খেলে নিজের শতরান পূরণ করেন। ৯৮ বলে ১১১ রানে অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন হ্যারি ব্রুক। আকাশ দীপ নেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
ব্রুক আউট হওয়ার পর রুট নিজের শতরান পূরণ করেন। অপরদিকে, জেকব বেথেলকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান। এরপর জো রুট ১০৫ রানে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হতেই ফের একবার পাল্টে যায় ম্যাচের রং। চতুর্থ দিনের খেলা চললে আর ৪ ওভার পরই নতুন বল উপলব্ধ ছিল। ফলে চতুর্থ দিনে ম্যাচ ভারতের পক্ষেও যেতে পারত। কিন্তু বৃষ্টির কারণে খেলা যায় শেষ দিনে।
শেষ দিনে রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারের সাক্ষী থাকল ক্রিকেট বিশ্ব। খেলার রং পাল্টে দেন একা মহম্মদ সিরাজ। শেষ দিনে ৩টি উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেন সিরাজ। এছাড়া চারটি উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। বিফলে যায় গাস অ্যাটকিনসনের লড়াই। শেষ উইকেটে দলের স্বার্থে ভাঙা কাঁধে ব্যাট করতে নামেন ক্রিস ওকস। কিন্তু সিরাজের আগুনে স্পেলে শেষ রক্ষা হয়নি। ৩৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।