যদিও কংগ্রেস নেতা এই কথা বলেছিলেন রাজনৈতিক প্রসঙ্গে, ভারতের বর্তমান ক্রিকেট দলের অবস্থা এই বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায় বলেই পোস্ট করেছেন বীরু। যদিও টিম ইন্ডিয়ার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় তার হৃদয়কেও রক্তাক্ত করেছে। মন খারাপ করে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের মধ্যেও মজা করার চেষ্টা করেছেন তিনি। বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মন খারাপ করে লাভ নেই। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আবার আছে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার পরের বছর একদিনের বিশ্বকাপ। ভারতের ক্রিকেট দলকে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
advertisement
ক্রিকেট বোর্ডকে এবং নির্বাচক প্রধানকে আরো দায়িত্ব নিতে হবে। তবে অনেকে ভারতীয় দলের এই ব্যর্থতার জন্য যেভাবে আইপিএলকে দায়ী করছেন, সেটা মানতে পারছেন না সেহওয়াগ। বলেছেন সফল হলেই আইপিএল ভাল, আর ব্যর্থ হলেই যত দোষ আইপিএলের - এই তত্ত্ব বেকার। অনেক দেশ যাদের ক্রিকেট ভারতের মত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী নয়, তারা হিংসা থেকে আইপিএলকে কাঠ গড়ায় নিয়ে আসছে মনে করেন তিনি।
তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল সঠিক ইনপুট নিয়ে খেলতে নেমেছিল কিনা সন্দেহ রয়েছে তার। শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধে ভারতীয় ভিডিও অ্যানালিসিস সঠিক কাজ করেছিল কিনা নিশ্চিত নন তিনি। এখনও তিনি মনে করেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে ভারত যে ধাক্কা খেয়েছে, সেটা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। তার সমগ্র দেশবাসী নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের জয় আশা করলেও, ক্রিকেটীয় শক্তির বিচারে সেটা সম্ভব নয় জানতেন তিনি।
২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজে এরকমই ব্যর্থ হয় হৃদয় ভেঙে ছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারতীয় দলের। সেবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার সহ্য করতে হয়েছিল। কিন্তু তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে। যদিও সেই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এখন আর নেই। তবুও সেহওয়াগ নিশ্চিত এই ভারতীয় দলটাও দ্রুত নিজেদের ভুল শুধরে নিয়ে পরের বছর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হিসেব পাল্টে দেবে।
বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তার। তাছাড়া নতুন অধিনায়ক রোহিত শর্মা দলকে রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ওপরে নিয়ে যাবেন নিশ্চিত তিনি।