সেখানে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা এবং ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্প ভাগ করে নিয়েছিলেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। সাহস দিয়েছিলেন। মাঠে সেটার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে শাহিন আফ্রিদি (Shaheen Afridi) , হাসান আলি (Hasan Ali) ,হ্যারিস রউফ, মোহাম্মদ হাফিজদের খেলায়। পাকিস্তান যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। তাদের থামানোর মত দল কে আছে? গ্রুপ পর্বে টানা চতুর্থ জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল পাকিস্তান।
advertisement
প্রথম দুই ম্যাচে ভারত-নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর আফগানিস্তান এবং নামিবিয়ার বিপক্ষেও সহজেই জিতেছে বাবর আজমের (Babar Azam) দল। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা পেসার শোয়েব আখতার বলছেন, এখন অন্য গ্রুপের প্রতিপক্ষের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তানের আরেকটা জয়। এখন অন্য গ্রুপের দলগুলোর বিপক্ষে প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। কেননা তারা আমাদের চমকে দিতে পারে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড।’
শোয়েব ইংল্যান্ডের কথা খামোখা বলেননি। ইয়ন মরগ্যানের (Eoin Morgan) দলও প্রথম চার ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করে ফেলেছে সেমিফাইনাল। পাকিস্তানের যদি দারুণ ক্রিকেট খেলে থাকে, তবে ইংলিশরা খেলছে দুর্দান্ত। সবার জন্য হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক। শোয়েবের কণ্ঠে তাই ঝরল ইংল্যান্ড স্তুতি, 'ইংল্যান্ড এই বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছে। জস বাটলার তো খুবই বিধ্বংসী।' নিজেদের ব্যাটিংয়েরও প্রশংসা করেছেন শোয়েব।
বিশেষ করে, উদ্বোধনী জুটিতে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের (Rizwan) ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ রাওয়ালপিন্ডি একপ্রেস, ‘ওদের কথা আর কি বলব! ওরা দুর্দান্ত খেলছে। বাবর-রিজওয়ান জুটি এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি।’ ইংল্যান্ড দলে শোয়েব শুধু বাটলারের নাম করলেও, মালান, জনি বেয়ারস্টো, রয়দের মত দুরন্ত ব্যাটসম্যানরা আছেন। বোলিং বিভাগে আদিল রশিদ, মইন আলি (Moeen Ali), জর্ডান, ওকসরা (Chris Woakes) দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন।
এমন একটা দলের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া সহজ নয়। তাছাড়া এটা সত্যি কথা, এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার পাকিস্তানকে এত ধারাবাহিক মনে হচ্ছে। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের তুলনায় ইংল্যান্ড ধারাবাহিক অনেক বেশি। তবে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম জানিয়েছেন ম্যাথু হেডেন (Matthew Hayden) ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে দলে আসার পর, তাদের অভিজ্ঞতা এবং ধৈর্য দুটোই বেড়েছে।
কখন রানের গতি বাড়াতে হবে সেটা এখন পরিষ্কার জানেন পাক ব্যাটসম্যানরা। হীনমন্যতা নেই দলে। কোনো দলকেই তারা যেমন ছোট করে দেখেন না, তেমনই কোনও দলকে ভয় পান না। বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে অযথা ভেবে চাপ বাড়াতে চান না দলের কেউ। নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলে যাওয়াই লক্ষ্য পাকিস্তানের।