নিউজিল্যান্ড - ১১১/২
নিউজিল্যান্ড জয়ী ৮ উইকেটে
#দুবাই: প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। দুটোতেই হারল ভারত। প্রথমটার তুলনায় এই হার একটু কম লজ্জার। এই টুকুই যা পার্থক্য! বাকিটা বড় মঞ্চে আইসিসি টুর্ণামেন্টে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) - রবি শাস্ত্রী জুটির ফ্লপ শো বজায় রইল। খাতায়-কলমে ভারতের বিদায় ঘটে গেছে পুরোপুরি লিখে দেওয়া না গেলেও, কার্যত বিদায় বলাই যায়। পরের ম্যাচে আফগানিস্তান নিউজিল্যান্ডকে হারালে একটা সুযোগ আসতে পারে ভারতের সামনে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
advertisement
বছর দুয়েক আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে একদিনের বিশ্বকাপ। তারপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের সাম্প্রতিক রেকর্ড দেখলেই গায়ে জ্বর আসতে বাধ্য ভারতীয় সমর্থকদের। এদিন যখন প্রথম ইনিংসে ভারত শেষ হয়ে গেল
১১০ রানে, তখন নিউজিল্যান্ডের জয় পাওয়া ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। বল হাতে বুমরাহ (Bumrah) মার্টিন গাপটিলকে তুলে নিলেও উইলিয়ামসন(Williamson) এবং দারেল মিচেল দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন।
জাদেজার এক ওভারে ১৪ রান নিলেন মিচেল। সাত ওভারে ৫০ তুলে ফেলল নিউজিল্যান্ড। ভারতীয় সমর্থকদের আকুতি, ১৮ বছর আগের মধ্য মার্চের সেঞ্চুরিয়ন যেন ফেরে রবিবাসরীয় মরুভূমির দেশে! প্রায় দু’দশক অতিক্রান্ত। ঠিকঠাক ধরলে আঠারো বছর। এই পর্বে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখেনি ভারতীয় দল।
সপ্তাহখানেক আগে পাকিস্তানের কাছে বিরাট কোহলিদের দশ উইকেটে পরাজয়ে বিদীর্ণ হয়েছে হৃদয়। ক্রিকেট মহলে এখনও চলছে ময়নাতদন্ত। নিউজিল্যান্ড। হারলেও অসহায় আত্মসমর্পণ করেনি। নাছোড়বান্দা এই মনোভাবটাই উইলিয়ামসনের দলের প্রধান ইউএসপি।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বরাবর নিউজিল্যান্ড এমন একটা দল যাঁদের নিয়ে খুব একটা লেখালেখি হয় না।
তারকা ক্রিকেটার উইলিয়ামসন এবং ট্রেন্ট বোল্ট (Trent Boult) ছাড়া তেমনভাবে কেউ নেই। বরাবরের আন্ডারডগ। এটাই সুবিধা কিউইদের। আজ যেমন দ্যরেল মিচেল (Daryl Mitcell) যে কাউন্টার আক্রমনাত্মক ইনিংস খেললেন তার জবাব ছিল না ভারতের কাছে। শার্দুল ঠাকুরের একটি ওভারে ১৪ রান নিলেন।সাইলেন্ট কিলার হিসেবে ভারতের বোলিংকে শেষ করে দিলেন।৪৯ করে যতক্ষণে আউট হলেন, ততক্ষনে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। উইলিয়ামসন এবং কনওয়ে মিলে দলকে জেতালেন সাড়ে পাঁচ ওভার বাকি থাকতেই।